English Version
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ২১:৪০

উচ্চস্বরে বদরুল: আমার ফাঁসি হোক, খাদিজার জয় হোক

নিজস্ব প্রতিবেদক
উচ্চস্বরে বদরুল: আমার ফাঁসি হোক, খাদিজার জয় হোক

সিলেটে কলেজছাত্রী খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি বদরুল আলম বলেছেন, আমার ফাঁসি হোক, খাদিজার জয় হোক। আজ রোববার (১১ ডিসেম্বর) সিলেটের মহানগর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলার দ্বিতীয় পর্যায়ের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন বদরুলকে সাংবাদিকদের দেখে উচ্চস্বরে একথা বলেন।

এর আগে বেলা ১১টা থেকে বেলা পৌনে ৩টা পর্যন্ত সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে খাদিজার বাবা, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, স্বাকীরোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণকারী বিচারিক হাকিম, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীসহ মোট ১৫ জনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়।

সাক্ষ্যগ্রহণের পুরো সময় ধরে আদালতের এজলাসের কাঠগড়ায় লাল শার্ট ও জিন্সের প্যান্ট পরে আসা বদরুল আর কোনো কথা বলেননি। অনেকটা নীরবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কখনো কখনো প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে উপরের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখা যায় বদরুলকে। 

সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়ার পুরো সময় ধরে আদালত কক্ষে কখনো সাক্ষ্য দিয়েছে আবার কখনো সাক্ষ্যগ্রহণ প্রত্যক্ষ করেছেন খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া এবং মা মনোয়ারা বেগম। তবে বদরুল কোনো সময়ই তাদের দিকে তাকাননি। বেশির ভাগ সময়ই উপরের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখা গেছে তাকে।

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে প্রতিক্রিয়ায় খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া বলেন, গত শনিবার আমি ঢাকা থেকে সিলেটে এসেছি সাক্ষী দিতে। তখন আমার মেয়ে খাদিজা আমাকে হাসি মুখে বিদায় দিয়ে বলেছে, ‘সিলেটের মানুষকে আমার সালাম দিবেন। আামি বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’ আমার মেয়ের সাথে আমরাও বখাটে এই ছেলেটির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। 

তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের পক্ষ থেকে অব্যাহত সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, বিচার সংশ্লিষ্ট ও প্রশাসনের কর্মকর্তারাও আন্তরিকতা দেখিয়েছেন খাদিজার প্রতি এজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ।  

গত ৫ ডিসেম্বর খাদিজা হত্যা প্রচেষ্টা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ওইদিন সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলার ১৭ জন সাক্ষ্য দেন।