English Version
আপডেট : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১০:২৮

মাদারীপুরে পঙ্গু ভিক্ষুকে গণধর্ষণ

অনলাইন ডেস্ক
মাদারীপুরে পঙ্গু ভিক্ষুকে গণধর্ষণ

মাদারীপুরের শিবচরে হেলেনা বেগম (৩২) নামের এক পঙ্গু ভিক্ষুকে গণধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে। তাকে ময়নাকাটা নদীর কচুরিপানা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

পরে শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হেলেনাকে জরুরি ভিত্তিতে উন্নত চিতিৎসার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ময়নাকাটা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নদীর ধারে কুচরিপানা থেকে অসহায় এক পঙ্গু ভিক্ষুককে অচেতন অবস্থায় দেখতে পায় জেলেরা। পরে এক ভ্যান চালক তাকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করে।

হেলেনা বেগম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশের কাছে অভিযোগ করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাস্তার পাশের একটি দোকানের সামনে বসে ভিক্ষা করছিলাম। হঠাৎ ৪/৫ যুবক আমাকে জোড় করে পাঁচ্চর রাস্তার পাশে ব্যঙ্গচোরা এলাকার একটি বাগানের মধ্যে নিয়ে গণধর্ষণ করে।

পঙ্গু হেলেনা বেগম তিন সন্তানের জননী। সাভারের তার স্বামীর বাড়ি। কিন্তু শিবচরের কাচিকাটা গ্রামের তার বাবার বাড়ি। গত তিন/ চার বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনাপর পর ডাক্তার তার ডান পা কেটে ফেলে। তখন থেকে সে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার (বাবার বাড়ি) এলাকায় ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করে। শুক্রবার বিকেলে হেলেনাকে জরুরি ভিত্তিতে উন্নত চিতিৎসার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার মো. মাহফুজুর রহমান জানান, অসুস্থ্য অবস্থায় চিকৎসাধীন হেলেনা বেগমকে অচেতন অবস্থায় দুপুরে এক ভ্যান চালক হাসপাতালে নিয়ে আসে। প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে হেলেনার শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শিবচর থানার কর্মকর্তা ওসি মো. জাকির হোসেন মোল্লা ঘঁনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, অসুস্থ্য অবস্থায় তাকে মাদারীপুর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।