সিএনজি অটোরিকশা চোর সিন্ডিকেটের ৫ সদস্য আটক

র্যাবের বিশেষ অভিযানে অস্ত্র-গুলি, ১টি প্রাইভেটকার এবং ৪টি সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধারসহ আন্ত:জেলা ডাকাত ও ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতাসহ ৫ সদস্য আটক হয়েছে। শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি অভিযানিক দল মোহাম্মদপুর থানাধীন বসিলা সিটি গার্ডেন আবাসিক এলাকার বাউন্ডারি দেওয়াল দিয়ে ঘেরা একটি জায়গায় দ্রুত পালানোর চেষ্টাকালে তাদের আটক করে। আটককৃতরা হলেন, আন্ত:জেলা ডাকাত ও সিএনজি অটোরিকশা ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা মো. আক্তার (৫০), সহযোগী ইমদাদ সরদার (৩৫), মো. শানু (৪৪), আব্দুল কুদ্দুস খালাসী (৪০) ও ইয়াকুব হাওলাদার (৪০)। শনিবার দুপুরে র্যাব-২ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, অধিনায়ক(সিও) লে. কর্ণেল মহিউদ্দীন। তিনি বলেন, আটকের পর আন্ত:জেলা ডাকাত ও ছিনতাইকারী দলের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাত দলের মূলহোতা আক্তার জানায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে এ পর্যন্ত তারা ৭টি ডাকাতি ও ৩০টি অটোরিকশা ছিনতাই করেছে। এরমধ্যে আক্তারের দেয়া তথ্যমতে ৪টি সিএনজি অটোরিকশা হাজারীবাগের শিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিছনে নির্জন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়। ছিনতাই দলের প্রধান আক্তার জানায়, অপেক্ষাকৃত নির্জন স্থানকে ছিনতাইয়ের জন্য টার্গেট করা হয়। রাস্তায় যখন গাড়ি কম থাকে তখন এক ছিনতাইকারী বস সেজে প্রাইভেটকারে বসে থাকে এবং আরেক সদস্য সেটি চালিয়ে টার্গেটকৃত অটোরিকশার কাছে গিয়ে গাড়ি নষ্টের অজুহাতে ইঞ্জিন কভার খুলে প্রায় ১০ মিনিট ঠিক করার অভিনয় করতে থাকে। এরপর ড্রাইভার, গাড়িটি আপাতত ঠিক হবে না মর্মে বসকে জানায়।
তখন বসের নির্দেশে ড্রাইভার টার্গেটকৃত আটোরিকশা চালককে গাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে জানিয়ে তার বসকে গন্তব্যস্থলে নিয়ে যাবার জন্য ভাড়া করে। ছিনতাই পরিকল্পনায় টার্গেট স্থান ও অটোরিকশা হতে সামনে পিছনে প্রায় ১০০ গজ দূরে তাদের এক সদস্যকে দাঁড় করিয়ে রাখে। এরপর বস অটোরিকশায় করে দাঁড়িয়ে থাকা সদস্যের নিকট পৌঁছালে চালককে অটো থামিয়ে নিজের গাড়ির ড্রাইভারকে বিশেষ প্রয়োজন দেখিয়ে ডেকে আনার জন্য অনুরোধ করে। যাত্রীর অনুরোধে চালক অটোরিকশা থেকে নেমে গাড়ির দিকে কিছুদূর গেলে দাঁড়িয়ে থাকা ছিনতাইকারী দলের সদস্যটি অটোরিকশা চালকের আসনে বসে দ্রুত পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় অটোরিকশা চালক টের পেয়ে তাদের পিছু নেয়। সেই সুযোগে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি নিয়ে ড্রাইভারও উধাও হয়ে যায়। এখানেই শেষ নয়। ছিনতাইকৃত সিএনজি অটোরিকশা মালিকের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তার নিকট ফোন করে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা দিতে রাজি হলে তারা অটোরিকশাটি মালিককে ফেরত দেয়। আর টাকা না দিলে ঢাকার আশেপাশে বিভিন্ন জেলায় যেখানে গ্যাস সরবরাহ রয়েছে সেখানে নিয়ে বিক্রি করে দেয়।