English Version
আপডেট : ২১ আগস্ট, ২০১৬ ১২:৩৯

টাঙ্গাইলে গাছে বেঁধে নববধূকে নির্যাতন

অনলাইন ডেস্ক
টাঙ্গাইলে গাছে বেঁধে নববধূকে নির্যাতন

টাঙ্গাইলের মধুপুরে যৌতুকের দাবিতে সালমা (২২) নামের এক নববধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার উপজেলার পৌর শহরের টেকি বেপারিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নির্যাতিতা সালমা টেকি বেপারিপাড়ার মৃত মনছুর বেপারির মেয়ে এবং একই পাড়ার খোরশেদ আলীর স্ত্রী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সালমা ও খোরশেদ আলীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এরই মধ্যে দারিদ্র্যের কারণে সালমা গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে গিয়ে একটি গার্মেন্টে চাকরি নেন। খোরশেদও সালমার সঙ্গে ওই এলাকায় থাকেন। বিষয়টি জানাজানি হলে গত ২৯ জুলাই তাদের বিয়ে দিয়ে দেয় এলাকাবাসী।

পরে অবিভাবকরা তাদের বিবাহ মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন। কিন্তু সমস্যা সমাধানে ১৫ দিনের সময় দেন মাতব্বররা।

গৃহবধূ সালমার অভিযোগ, এই ১৫ দিনের মধ্যে খোরশেদ আলীর পরিবারের সদস্যরা যৌতুক হিসেবে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন। শনিবার সকালে সালমা শ্বশুরবাড়ি প্রবেশ করতে গেলে প্রথমে তারা বাধা দেন। এরপর সালমাকে রাস্তার পাশে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা করে।

সালমার অভিযোগ, তার স্বামীর বড় ভাই আজমত আলী, আজমতের স্ত্রী ইয়ারন, হাসমত আলী, হাসমতের স্ত্রী শিরিন, শাশুড়ি আছিয়া ও শ্বশুর সায়েদসহ অনেকে তাকে মারধর করে।

খবর পেয়ে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর সাখাওয়াত হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। তবে সালমাকে গাছে বেঁধে রাখার কথা নিশ্চিত করলেও মারধর করেছে কিনা, জানা নেই বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে স্বামী খোরশেদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মধুপুর থানার ওসি সফিকুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।