English Version
আপডেট : ৭ আগস্ট, ২০১৬ ১৪:৪৩

হাসনাত করিমই গুলশান হামলার 'মাস্টারমাইন্ড'!

অনলাইন ডেস্ক
হাসনাত করিমই গুলশান হামলার 'মাস্টারমাইন্ড'!

ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি ধীরে ধীরে উন্মোচিত হচ্ছে গোয়েন্দাদের কাছে। হামলার বিভিন্ন ছবি ও তার মোবাইল ফোনের ফরেনসিক রিপোর্ট থেকে গোয়েন্দারা এখন অনেকটা নিশ্চিত, হাসনাত করিম গুলশান হামলার নাটের গুরু ও মাস্টারমাইন্ড! এমনকি পুরো অপারেশন যেন নিখুঁতভাবে সম্পন্ন হয় সে জন্য তিনি নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে হামলা পরিচালনা ও মনিটরিং করেন। হামলার আপডেট ও বিভিন্ন ছবি আদান প্রদান করেন দেশ ও দেশের বাইরে। গোয়েন্দাদের ধারণা, হাসনাতের মোবাইলের ক্যামেরায় ধারণ করা ছবিই উগ্রবাদীদের মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক মুখপত্র ‘আমাক নিউজ এজেন্সি’ ও ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের গুপ্তচর রিটা কার্টৎজের ওয়েব পোর্টাল সাইট ইন্টেলিজেন্সের কাছে পাঠানো হয়। আর তার একাজে সহযোগিতা করেন কানাডা প্রবাসী ছাত্র তাহমিদ খান। এমনকি নিজ হাতে অস্ত্র চালিয়ে তাহমিদও এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞে অংশ নেয় বলে তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার শুরু থেকেই এই দুইজন নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আসলেও সম্প্রতি পাওয়া দুটি স্থিরচিত্র ও হাসনাত করিমের মোবাইল ফোনের ফরেনসিক রিপোর্ট থেকে এসব চাঞ্চল্যকর ক্লু বেরিয়ে এসেছে। হামলার পরদিন কাকডাকা ভোরে জঙ্গি রোহান ইমতিয়াজ, তাহমিদ খান ও হাসনাত করিমকে রেস্টুরেন্টের ছাদে ঘনিষ্ঠভাবে দাঁড়িয়ে কথা বলতে দেখা যায়। পাশের ভবন থেকে তাদের এই গুরুত্বপূর্ণ সহ-অবস্থানের কয়েকটি ছবি তুলতে সক্ষম হন পার্শ্ববর্তী ভবনের একজন বাসিন্দা। ছবিতে দেখা যায়, জঙ্গি রোহান ইমতিয়াজের গলায় সামরিক কায়দায় ঝোলানো আছে একটি অত্যাধুনিক অস্ত্র। আর তার পাশে ঘনিষ্ঠ হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন তাহমিদ খান ও হাসনাত করিম। ছবিতে তাহমিদের হাতেও অস্ত্র দেখা যায়। তিনজনই ঘনিষ্ঠ ভঙ্গিতে একেবারে স্বাভাবিকভাবে একে অপরের সঙ্গে কথাবার্তা বলছিলেন।  জানা গেছে, প্রভাবশালী ও স্বচ্ছল পরিবারের সন্তান হওয়ায় একটি পক্ষ শুরু থেকেই হাসনাত করিম ও তাহমিদ খানকে নির্দোষ প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লেগেছিলো। যে কারণে প্রথম দিকে বিভ্রান্তিতে পড়েন তদন্তকারীরা। তবে সর্বশেষ পাওয়া স্টিল, ফুটেজ এবং হাসনাত ও তাহমিদকে রিমান্ডে নেয়ার পর শনিবার তদন্তকারী সংস্থা হাসনাত করিম ও তাহমিদের জড়িত থাকার অকাট্য প্রমাণ পায়। আগামী দু'একদিনের মধ্যেই পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জাতির সামনে পরিষ্কার করা হতে পারে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।