English Version
আপডেট : ৩ আগস্ট, ২০১৬ ১৫:৫৮

‘হত্যার আসামীরা ধরা ছোয়ার বাইরে’

অনলাইন ডেস্ক
‘হত্যার আসামীরা ধরা ছোয়ার বাইরে’

মেয়ে হত্যা মামলার অধিকাংশ আসামীদেরকে আটক করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী রহিমা খাতুন। একই সাথে তিনি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করার দাবী জানিয়ে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।

প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, পাইকগাছা উপজেলার ধামরাইল গ্রামের আমজেদ আলী গাজীর মেয়ে রানিমা সুলতানাকে গত ১/৬/২০১৪ তারিখে পাশ্ববর্তী কয়রা উপজেলার নাকসা গ্রামের নজরুল সানার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে মামুন যৌতুকের জন্য স্ত্রী ও শ্বশুর শ্বাশুড়ীকে চাপ প্রয়োগ করে। এমনকি রানিমাকে শারিরীক ও মানুষিক নির্যাতন করে।

এছাড়াও মামুনের ভাই লাভলু সানা কারণে অকারণে ভাবী রানিমাকে বিভিন্ন সময়ে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এ নিয়ে একাধিক বার শালিসী বৈধকের মাধ্যমে বিষয়টি মিমংসা করা হয়। এদিকে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে অন্যান্যদের সহযোগিতায় দেবর লাভলুসহ অনেকেই ঘটনার দিন ২৯/০৮/২০১৫ ইং তারিখে রানিমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গলায় রশি দিয়া বসতঘরের আড়াই ঝুলাইয়া দিয়ে অপমৃত্যু বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।

এ ঘটনায় হত্যার অভিযোগ এনে লাভলু সানা সহ ১৪ জনকে আসামী করে নিহত রানিমার মা রহিমা খাতুন বাদী হয়ে ২৭/১০/১৫ ইং তারিখে কয়রা থানায় মামলা দায়ের করে। যার নং- ২২। এ ঘটনায় ৩, ৭ ও ৮ নং আসামীকে আটক করলেও প্রধান আসামী সহ অধিকাংশ আসামীদেরকে এখনো পর্যন্ত আটক করা হয়নি বলে রহিমা খাতুন অভিযোগ করেছেন।