English Version
আপডেট : ৩ আগস্ট, ২০১৬ ১৫:৩৮

স্টোরকিপারের চাঁদাবাজিতে তুঙ্গে পাসপোর্ট অফিস

আল-মামুন
স্টোরকিপারের চাঁদাবাজিতে তুঙ্গে পাসপোর্ট অফিস

পাসপোর্ট অফিস, গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানের নাম। সরকারী হলেও খাগড়াছড়িতে টাকা ছাড়া চলে না অফিসে কোন কার্যক্রম। পাসপোর্ট করতে গেলেই কাজের অজুহাতে টাকা নিচ্ছে কর্মচারীরা।

পাসপোর্ট অফিসের স্টোরকিপারের ক্ষমতা দেখলেই মনে হবে তিনি যেন এখন এই জেলা প্রধান কর্মকর্তা। প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করেন মো. মোশারফ হোসেন নামের খাগড়াছড়ি পাসপোর্ট অফিসের স্টোরকিপার।   

অভিযোগ রয়েছে, সে এক বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রের কাজ থেকে ১ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। যুবক দাবীকৃত চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে, তাকে গলাধাক্কা দেওয়াসহ অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে।

পরে এ বিষয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলার আর্দশগ্রামের বাসিন্দার ভূক্তভোগী ইয়াকুব মিয়া স্থানীয় মিডিয়াকর্মীও প্রশাসনের লোকজনকে অভিহীত করেন। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে “মোশারফ হোসেন” এর সাথে কথা বলতে গেলে তাদের সাথেও অসৌজন্যমুলক আচরণ করে।  

ইয়াকুব মিয়া অভিযোগ করে জানান, মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে সে কাগজপত্র নিয়ে আসলে মো. মোশারফ হোসেন নামের স্টোরকিপার ১ হাজার টাকা দাবী করে। পরে জিজ্ঞাসা করলে তাকে মারধরের চেষ্টা নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শণসহ গেইটম্যান দিয়ে গলা ধক্কা দেয়।       এদিকে চাঁদাবাজির বিষয়ে তিনি বলেন, আমার স্যার নেই। এখন অফিসের সকল কাজ আমাদের দেখতে হচ্ছে। চাঁদাদাবীর বিষয়টি বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যায়।  

স্থানীয়দের অভিযোগ, খাগড়াছড়ি পাসপোর্ট অফিসে বেপোরোয়া চাঁদাবাজি, সীমাহিন দুর্নীতিসহ অনিয়ম করে আসলেও দেখার কেউ নেই। অন্যদিকে অফিস কর্মচারীই এখন সব কাজের কাজী। নিজেরাই দালাল, নিজেরাই কর্তা। আবার কখনও কখনও অফিসের স্যার না থাকলে কর্মচারীরাই স্যার আসনে বসে থাকেন।

শুধু তাই নয় খাগড়াছড়িতে পাসপোর্ট করতে আসা অসংখ্য ব্যাক্তি কর্মচারীদের ঘুষ বাণিজ্য ও চাঁদা দাবী করার বিষয়টি অভিযোগ করেন। এছাড়াও কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের পাসপোর্ট দিতে হয়রানী, নানা ভাবে কালক্ষেপনের অভিযোগ উঠেছে।