English Version
আপডেট : ১৯ জুন, ২০১৬ ১৬:০৯

স্কুলছাত্রীকে হত্যার দায়ে ছাত্র বিক্রমের ফাঁসি

অনলাইন ডেস্ক
স্কুলছাত্রীকে হত্যার দায়ে ছাত্র বিক্রমের ফাঁসি

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক স্কুলছাত্রীকে হত্যার দায়ে এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম এনামুল হক আসামির উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভেকেট হারিজ উদ্দিন আহমেদ। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভেকেট মো. ফজলুল হক।

দণ্ডপ্রাপ্ত ওই ছাত্রের নাম বিক্রম চন্দ্র সরকার ওরফে বিজয় সরকার (২৫)। তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ছোট কাঞ্চনপুর এলাকার রামপদ মনি দাসের ছেলে এবং সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ’র ছাত্র।

গাজীপুর আদালতের পিপি অ্যাডভেকেট হারিজ উদ্দিন আহমেদ জানান, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানাধীন রামরাবন এলাকার সাগর চন্দ্র মনি দাসের মেয়ে কবিতা মনি দাস (১৪) কালিয়াকৈরের বোর্ডঘর উত্তর গজারিয়া এলাকার জনতা বিজয় স্মরণী উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী।

মা-বাবা সাভারের এনাম মেডিকেলে চাকুরি করার সুবাদে কবিতা কালিয়াকৈরে কাঞ্চনপুর এলাকায় তার নানার বাড়ি থেকে ওই স্কুলে লেখাপড়া করতো। স্কুলে যাওয়া আসার পথে কবিতাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রায়ই বিরক্ত করতো স্থানীয় যুবক বিক্রম।

কিন্তু কবিতা বরাবরই তা প্রত্যাখ্যান করে আসছিল। এ ঘটনা বিক্রমের বাবা-মাকে জানালে বিক্রম ক্ষুব্ধ হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১৩ অক্টোবর দুপুরে টেস্ট (নির্বাচনী) পরীক্ষা দেয়ার জন্য কবিতা বাসা থেকে স্কুলে যায়।

কিন্তু স্কুলে প্রবেশের আগে গেইটের সামনে বিক্রম চাকু দিয়ে কবিতার বুকে, পেটে ও হাতে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। কবিতার চিৎকারে শিক্ষক ও সহপাঠিরা এগিয়ে এসে বিক্রমকে আটক করে এবং আহত কাবতাকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় মামালা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আতিকুর রহমান রাসেল তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর অভিযুক্ত বিক্রম সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে গত ২৫ মে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। আদালত ওই মামলায় শুনানি ও ১০ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রবিবার সকালে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম এনামুল হক রায় ঘোষণা করেন।