English Version
আপডেট : ১১ জুন, ২০১৬ ১৩:৪৬

নিরীহ যুবককে আটক, পরে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
নিরীহ যুবককে আটক, পরে মামলা

খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলাধীন জালিয়াপাড়ায় তারাবির নামাজ থেকে বের হওয়ার পর মো: নেজাম উদ্দিন (২৮) নামের এক স্থানীয় যুবককে আটক করার অভিযোগ করেছে তার পরিবার।

আটককৃত যুবকের বিরুদ্ধে কোন মামলা না থাকলেও আটকের পর থানায় নিয়ে গিয়ে তার বিরুদ্ধে চুরির ধারাসহ বেশ কয়েকটি দাবি এনে শুক্রবার দুপুরে তাকে খাগড়াছড়ি আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। বিচারিক আদালত আসামী জামিন না মঞ্জুর না তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।

অভিযোগ উঠেছে, গুইমারা থানার এস আই মো: মশিউর রহমান উদ্দেশ্যমুলক ভাবে তাকে অর্থের বিনিময়ে আটক করে। পরে মামলা দেখিয়ে খাগড়াছড়ি আদালতে প্রেরণ করে।

রাতে মো: নেজাম উদ্দিন নামের যুবক আটকের সংবাদ পেয়ে দৈনিক দিনকালের স্টাফ রিপোর্টার বিষয়টি জানতে গেলে পুলিশ তার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ সকালে আসামীর ছবি তোলায় বাঁধা প্রদান করে।

এছাড়াও স্থানীয় গুইমারা উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আইয়ুব আলী থানায় গেলে পুলিশ তাকেও ২ ঘন্টা থানার বাহিরে বসিয়ে রেখে দেখা করতে না দিয়ে প্রেরত পাঠায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মামলার সূত্রে জানা যায়, জায়গা জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে পূর্বের ঘটনার রেশ ধরে এ আটকের ঘটনা ঘটে।

নিজামের পরিবারের অভিযোগ, লিখিত অভিযোগ মুলে পুলিশের আটক করতে পারে। তবে রাতে নামাজ পড়ে আসতে না আসতেই সাদা পোশাকে আটকের বৈধ্যতা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলে বলেন, মামলা ছাড়া পুলিশ সাধারণ মানুষকে আটকের পর থানায় নিয়ে মামলা নেওয়াটা কতটা আইনের মধ্যে পড়ে তা নিয়ে তিনি সচেতন মহলের কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দেন।

যার গুইমারা থানার মামলা নং ০১, তারিখ-০৯-০৬-১৬।

গুইমারা থানার এস আই জানান, রাতের ১০টায় মামলা হওয়ার পর অভিযানে নামে পুলিশ। তবে তিনি সাদা পোশাকে নিজামকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আসামী ধরার খাতিরে এ পক্রিয়া ব্যবহার করা হয়েছে।

অন্যদিকে অভিযোগ গ্রহণকারী গুইমারা থানার এস আই মো: ইয়াছিন মামলার পূর্বে আসামী আটকের বিষয়ে এসআই মশিউরের সাথে কথা বলতে পরামর্শ দিয়ে এ প্রতিনিধি বলেন বিষয়টি সম্পূন্ন তিনি জানেন।