English Version
আপডেট : ২৯ মে, ২০১৬ ১৮:১৮

দুঃখ প্রকাশ করে পার পেলেন বিমানবন্দর থানার ওসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
দুঃখ প্রকাশ করে পার পেলেন বিমানবন্দর থানার ওসি

আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান ও দুঃখ প্রকাশ করে পার পেলেন বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরমান আলী ও উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান। তাদেরকে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি সোনা চোরাচালান মামলার আসামি আল আমিনের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৯ মে) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির। অপরদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খায়রুল আলম।

পরে খায়রুল আলম সাংবাদিকদের জানান, ২০১৪ সালের ২২ আগস্ট ৭ কেজি সোনাসহ মো. আল আমিনকে (২৫) গ্রেফতার করে বিমানবন্দর থানা পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। শুনানিতে গত ১৩ এপ্রিল আসামিপক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানান, বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এখনো তা দেওয়া হয়নি। এ সময় আদালত জামিন বিষয়ে রুল জারি করেন। পাশাপাশি তদন্ত প্রতিবেদন কেন দেওয়া হচ্ছে না তা জানাতে এসআই মনিরুজ্জামানকে ১০ মে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্টে।

কিন্তু ১০ মে এসআই মনিরুজ্জামান হাজির না হওয়ায় এবং প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত বিমানবন্দর থানার ওসিসহ পুলিশের এই দুই কর্মকর্তাকে ২৯ মে (রবিবার) তলব করেন।

সেই অনুযায়ী রোববার দুই পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়ে আদালতকে জানান, গ্রেফতারকৃত আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে কয়েকজনের নাম এসেছে। তাদের নাম পেলেও ঠিকানা সংগ্রহ করতে না পারায় অভিযোগপত্র দিতে বিলম্ব হচ্ছে। এ জন্য তারা আদালতের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।

পরে আদালত দুই পুলিশ সদস্যকে অব্যাহতি দিয়ে দ্রুত অভিযোগপত্র দাখিলের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে আসামি আল আমিনের জামিন খারিজ করেন বলে নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির।