English Version
আপডেট : ২৬ মে, ২০১৬ ১৮:৪৫

যাবজ্জীবন বাতিলসহ ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক
যাবজ্জীবন বাতিলসহ ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ নির্দেশ

ধর্ষণ মামলায় নাবালক শিশুকে বিশেষ আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই আসামিকে জামিন দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রাষ্ট্রকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আবদু জলিলের করা জেল আপিল নিষ্পত্তি করে গত বছর ১৫ ডিসেম্বর ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেন। বিচারপতি এ এফ এম আবদুর রহমানের হাইকোর্টের একক বেঞ্চে ঘোষিত রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি বুধবার (২৫ মে) প্রকাশিত হয়েছে।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে আদালত বলেছেন, রাষ্ট্রপক্ষ কর্তৃক আসামি আব্দুল জলিলকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ করাই যুক্তিযুক্ত। যেখানে প্রশ্ন করা হয়েছে, ২০০১ সালে ১৩ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত আব্দুল জলিলকে ১৪ বছর জেলহাজতে আটক রেখে তার জীবনের যে ক্ষতি করা হয়েছে, তা পূরণ হবে কীভাবে? আসামি অপরাধী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত আসামি পক্ষ আইনের দৃষ্টিতে সমান অধিকার পাওয়ার অধিকারী।

এই মামলায় নাবালক শিশু আব্দুল জলিলকে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাই ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে তার জীবনের দুঃখ কিছুটা হলেও ঘোচাতে রাষ্ট্রপক্ষ বাধ্য।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ১৫ বছরের একটি শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ২০০১ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ভোলার চরফ্যাশন থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯-এর ১ ধারায় ২০০৪ সালের ৩০ আগস্ট আব্দুল জলিলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল জলিল জেল আপিল করেন। কিন্তু হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আপিল নিষ্পত্তি করতে গিয়ে দেখেন, ঘটনার সময় জলিলের বয়স ছিল ১৫ বছর। মামলার চার্জশিটেও তা উল্লেখ ছিল। ফলে আদালত ওই সাজা বাতিল করে নাবালক হিসেবে জলিলের বিচার পুনরায় শিশু আদালতে করতে ভোলার জেলা দায়রা জজকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

এরপর ২০১০ সালে ৮ মার্চ ভোলার অতিরিক্ত দায়রা জজ জলিলকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একই ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে আবারও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এই দণ্ডের বিরুদ্ধে আবার জেল আপিল করেন জলিল। সেই আপিল নিষ্পত্তি করে বিচাপতি আবদুর রহমান তার যাবজ্জীবনের সাজা বাতিল করে কারা মুক্তির নির্দেশ দেন।