English Version
আপডেট : ১১ মে, ২০১৬ ১২:১৫

শাজনীন হত্যা মামলায় শুনানি চলছে

অনলাইন ডেস্ক
শাজনীন হত্যা মামলায় শুনানি চলছে

গুলশানের চাঞ্চল্যকর শাজনীন তাসনিম রহমান ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির আপিলের শুনানি প্রায় দেড় যুগ পরে গতকাল মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ বুধবার  (১১ মে) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। এতে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তাঁকে সহযোগিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোন্দকার দিলীরুজ্জামান। 

গতকাল দুপুর পৌনে ১২টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত শুনানি হয়। শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতের কয়েকটি আইনগত প্রশ্নের জবাব দেন। পরে বাদীপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম চৌধুরী শুনানি শুরু করেন। শুনানি অসমাপ্ত অবস্থায় আজ বুধবার পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মুলতবি করা হয়।

১৯৯৮ সালে শাজনীন হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১৮ বছর পর গত ২৯ মার্চ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ফাঁসির আদেশ পাওয়া পাঁচ আসামির আপিলের শুনানি শুরু হয়। তিন সদস্যের ওই বেঞ্চের অপর দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার। গত ৫ এপ্রিল বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা ও বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীকে যুক্ত করে পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা হয়। ৬ এপ্রিল থেকে ওই বৃহত্তর বেঞ্চে আসামিদের আপিল শুনানি শুরু হয়।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে গুলশানে নিজ বাড়িতে খুন হন শাজনীন তাসনিম রহমান। ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে শাজনীনকে ধর্ষণ ও খুনের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতার দায়ে ছয় আসামিকেই ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। 

আসামিরা হলেন- শাজনীনের বাড়ির ঠিকাদার সৈয়দ সাজ্জাদ মইনুদ্দিন হাসান ও তাঁর সহকারী বাদল, বাড়ির গৃহভৃত্য শহীদুল ইসলাম (শহীদ), বাড়ির গৃহপরিচারিকা দুই বোন এস্তেমা খাতুন (মিনু) ও পারভীন এবং কাঠমিস্ত্রি শনিরাম মণ্ডল। বিচারিক আদালতের রায়ের পর এই মামলার মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য হাইকোর্টে যায়। একই সঙ্গে আসামিরাও আপিল করেন। ২০০৬ সালের ১০ জুলাই হাইকোর্ট পাঁচ আসামি হাসান, শহীদ, বাদল, মিনু ও পারভীনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন।

এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করেন চার আসামি হাসান, বাদল, মিনু ও পারভীন। ২০০৯ সালের ২৬ এপ্রিল সাজাপ্রাপ্ত চার আসামির লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। ফাঁসির আদেশ পাওয়া আরেক আসামি শহীদ জেল আপিল করেন। প্রায় সাত বছর পর গত ২৯ মার্চ ওই পাঁচ আসামির আপিলের শুনানি একসঙ্গে শুরু হয়।