English Version
আপডেট : ২৯ এপ্রিল, ২০১৬ ১৮:১৮

বিয়ে কথা বলে দু’বন্ধু মিলে কিরোশী ধর্ষণ

আব্দুর রহমান(জসিম), প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা:
বিয়ে কথা বলে দু’বন্ধু মিলে কিরোশী ধর্ষণ
কিশোরী জেসমিনের ছবি

মোবাইল ফোনে প্রেমে মত্ত হয়ে দুই স্কুল শিক্ষার্থী কিশোর-কিশোরী এখন বেকায়দায়। প্রেমের টানে কিশোরী জেসমিন এখন দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের পিরপুরকুল্লায় এসে বিয়ের দাবীতে রাস্তায় অবস্থান করছেন। কিশোরীকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

জানা গেছে, দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের পিরপুরকুলা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে নবম শ্রেণীর ছাত্র শাকিল হোসেনের সাথে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে দিনাজপুর সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামের আঃ জলিলের কন্যা অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী জেসমিন খাতুন (১৩) এর সাথে। এক বছর ধরে মোবাইলে প্রেমালাপ চলতে থাকে। জেসমিনকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কার্পাসডাঙ্গায় আসতে বলে প্রতারক শাকিল। শাকিলের ডাকে সাড়া দিয়ে সুদূর দিনাজপুর থেকে গত বুধবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গায় ছুটে আসে জেসমিন। শাকিল তার বন্ধু জুয়েল মোটরসাইকেল যোগে কার্পাসডাঙ্গা থেকে পিরপুরকুল্লায় নিয়ে যায়।

জেসমিন অভিযোগ করে বলেছে, মাসখানেক আগে শাকিলের ডাকে পিরপুরকুল্লায় এসেছিলাম। সেই সময় শাকিল ও জুয়েল সৌদি প্রবাসী শহিদুল ইসলামের বাড়ীতে নিয়ে সপ্তাখানেক আটকিয়ে রাখে এবং শাকিল ও জুয়েল ঐ বাড়ীতে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি নিরুপায় হয়ে দিনাজপুর ফিরে আসি। শাকিলের ডাকে গত বুধবার আবার ছুটে এসেছি বিয়ের দাবি নিয়ে। জেসমিন এখন বিয়ের দাবিতে পিরপুরকুল্লা গ্রামে অবস্থান করছে।

এদিকে স্থানীয়রা কিশোরী জেসমিনের বিয়ের বয়স না হওয়ায় ধর্ষণের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ বলে মনে করছেন। জেসমিনের বিয়ের দাবিতে অনড় থাকলেও লম্পট শাকিল ও তার বন্ধু জুয়েল গা ঢাকা দিয়েছে। জেসমিন স্থানীয় প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করে প্রতারক শাকিল ও জুয়েলের শাস্তি দাবি করেছে।