English Version
আপডেট : ১ এপ্রিল, ২০১৬ ২০:৪৯

প্রলোভন দেখিয়ে নিয়মিত ছাত্রী ধর্ষণ করে অন্যত্র বিয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রলোভন দেখিয়ে নিয়মিত ছাত্রী ধর্ষণ করে অন্যত্র বিয়ে

নাটোরের গুরুদাসপুরে স্কুলছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে জিয়াউর রহমান (২৮) নামে একজন শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার রানীগ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই সুব্রত সাহা মাহাতো তাকে গ্রেফতার করেন। জিয়া উপজেলার মশিন্দা বাহাদুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। অভিযুক্ত জিয়া মশিন্দা বাহাদুরপাড়া গ্রামের আজিজুলের ছেলে। তাদের বাড়ি সংলগ্ন সরকারি স্কুলে জিয়া চাকরি করেন।   পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চম শ্রেণিতে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে ছাত্রীটি শিক্ষক জিয়ার কাছে প্রাইভেট পড়তো। সুযোগ বুঝে তাকে ধর্ষণ করে জিয়া। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সম্প্রতি জিয়া অন্যত্র বিয়ে করলে ছাত্রীটি আদালতে ধর্ষণ মামলা করে। গত ১৩ মার্চ থানায় মামলাটি রেকর্ড হওয়ার পর থেকে জিয়া আত্মগোপনে ছিলেন।

ছাত্রীর মা জানান, মামলা দায়ের করার পর থেকে বিষয়টি আপোস করার জন্য তাদের নানাভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু ন্যায়বিচারের আশায় তাদের প্রস্তাবে রাজি হননি। মেয়ের ধর্ষক গ্রেফতারে তিনি খুশি।

ছাত্রীর খালাতো ভাই শামীম হোসেন জানান, ধর্ষক জিয়া প্রভাবশালী পরিবারে বিয়ে করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সংবাদকর্মী আর পুলিশের সক্রিয়তার কারনে তা ব্যর্থ হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন জানান, ধর্ষণ মামলা হওয়ার পর থেকে জিয়া বিদ্যালয়ে আসছেন না। হাজিরা খাতায় তাকে অনুপস্থিত দেখানো হচ্ছে। ব্যবস্থা কমিটির (এসএমসি) মিটিং ডেকে করণীয় ঠিক করা হবে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ হলেও শিক্ষকদের বেতন হয়নি। এ কারণে শিক্ষক জিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।