English Version
আপডেট : ২৪ মার্চ, ২০১৬ ১৯:৩১

মা কে লেখা তনুর শেষ স্টেটাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
মা কে লেখা তনুর শেষ স্টেটাস

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু মাকে লেখা জীবনের সর্ব শেষ ‘ফেসবুক স্টেটাস’। তনু আর কোনো দিন ফিরে আসবে না। আসবে ক্লাসে থাকবে না থিয়েটারের প্রিয় বন্ধুদের আড্ডায়। মাকেও কোনো দিন আর স্টেটাস দিবে সে। বলবে না ‘মাগো আমি টিউশনিতে যাচ্ছি।’

জীবনের অন্তিম মুহূর্তে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইয়ার হোসেনের অত্যন্ত আদরের মেয়ে সোহাগী। সেদিন ঘর থেকে বের হওয়ার সময় সোহাগী তার মাকে ফেসবুক স্টেটাসে লিখেছিল, ‘মা টেইলারের কাছ থেকে আমার নতুন জামাটা আজ নিয়ে আইসো, আমি কাল নতুন জামা পরে কলেজে যাবো।’

সন্ধ্যা সাতটার দিকে টিউশনি থেকে বেরিয়ে আর বাসায় ফিরতে পারেনি সোহাগী। অবশেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ময়নামতিতে পাওয়ার হাউসের পানির ট্যাংকের কাছে সোহাগীর গলাকাটা, মাথা থ্যাতলানো, অর্ধনগ্ন মৃতদেহ। নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিলো মোবাইল ফোনটিও পড়েছিল হাতের কাছেই।

অলিপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিদিনের মত সেদিনও ছাত্র পড়াতে বেরিয়েছিল অসচ্ছল পরিবারের সন্তান তনু।

সোহাগীর ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের বন্ধুরা অভিযোগ করেন, হত্যার বিষয়ে সোহাগীর পরিবার যেন কোনো তথ্য দিতে না পারে, সেজন্য দিনভর তাদের নজরদারীতে রাখা হয়। বন্ধ করে রাখা হয় তাদের মোবাইল ফোন। এমনকি সোহাগীর সহপাঠীদেরও সেখানে যেতে দেয়া হয়নি।

ধর্ষণের জন্য মেয়েদের পোশাকই যদি দায়ী হবে, তাহলে এই 'হিজাবী' পর্দা করা মেয়েটার ধর্ষিত নগ্ন লাশ ক্যান পাওয়া যাবে। এমন প্রশ্ন দেশের সবারই।