English Version
আপডেট : ২০ মার্চ, ২০১৬ ১৫:০৫

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়া সেই এসআই কারাগারে

ষ্টাফ রিপোর্টার
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়া সেই  এসআই কারাগারে

বেসরকারি আশা ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগে আদাবর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রতন কুমার দাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন রোববার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৪-এর বিচারক সালেহ উদ্দিন আহমেদ।

রোববার (২০ মার্চ) এসআই রতন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ৩১ জানুয়ারি বিকেলে ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে বই কিনতে শিয়া মসজিদের দিকে রিকশায় চেপে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ মসজিদের বিপরীতে আদাবর থানার এসআই রতন কুমারসহ পুলিশের তিন সদস্য এসে রিকশাটি থামান। কোনো কিছু বলার আগেই তাঁর কাছে ইয়াবা আছে কি না জানতে চান এসআই। এতে তিনি চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যান।

আরো জানা যায়, একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা জোর করে তাঁকে শিয়া মসজিদের বিপরীতে একটি ইলেকট্রিকের দোকানে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর এসআই রতন তাঁকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন।

এ সময় তিনি ওই এসআইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র দেখান। তারপরও তাঁকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বানানোর অপচেষ্টা করা হয়। একপর্যায় ছাত্রী এসআইকে বলেন, স্থানীয় লোকদের সামনে ব্যাগ তল্লাশি করতে। তা না হলে থানায় নিয়ে যেতে। কিন্তু এতে রাজি হননি এসআই রতন। তখন এসআই রতন ছাত্রীকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমার কাছে ওসি-ডিসি কিছুই না, কারো কাছে নালিশ করেও কোনো লাভ নেই।’

গত ১ ফ্রেব্রুয়ারি একই আদালতে এসআই রতনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রী। মামলা দায়েরের পর বিচারক বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। গত ১৬ ফ্রেব্রুয়ারি বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে একই আদালত রতনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ ঘটনায় এসআই রতনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।