English Version
আপডেট : ২০ মার্চ, ২০১৬ ১৪:৩৬

অসত্‍ উদ্দেশ্যে নারীর অঙ্গ স্পর্শই যৌন নিপীড়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক
অসত্‍ উদ্দেশ্যে নারীর অঙ্গ স্পর্শই যৌন নিপীড়ন

অনেকে মনে করেন নারী ধর্ষিত না হলে যৌন নিপীড়ন হয় না৷অথচ ২০০৩ সালের আইনে উল্লেখ করা আছে কোন অসত্‍ উদ্দেশ্যে নারীর যেকোনো অঙ্গ স্পর্শ করাই যৌন নিপীড়ন৷ 

গত শনিবার সকালে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম (সাগর) এ কথা জানান।

সাগর বলেন, নারীর পোশাক ধরে টান দেয়া, ধাক্কা দেয়া এগুলোও যৌন নিপীড়ন। যার ফলে প্রতিনিয়ত নারীদের অসম্মান করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেড়েই চলেছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস, শিল্প কারখানা, পথঘাটসহ মার্কেটে যৌন নিপীড়নের ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে৷ কিন্তু আইন না জানায় আমরা অনেকই তাকে যৌন নিপীড়ন বলছি না। বাংলাদেশের উচ্চ আদালতে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে একটি নির্দেশনা দেয়৷ আর তাতে বলা হয়েছে শিক্ষাসহ যেসব কর্মস্থলে নারী রয়েছেন সেসব প্রতিষ্ঠানে একজন নারীর নেতৃত্বে যৌন নিপীড়ন বিরোধী কমিটি থাকতে হবে৷ আর কমিটির মোট সদস্যদের মধ্যে নারীদের প্রাধান্য থাকতে হবে৷ একটা বাক্সে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ রাখার ব্যবস্থা করতে হবে৷

নির্দিষ্ট সময় পর ওই বাক্স খুলে যদি কোনো অভিযোগ পান তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে কমিটি৷ আর তদন্তে গোপনীয়তা রাখতে হবে৷ কেউ চাইলে সরাসরিও কমিটির কাছে অভিযোগ করতে পারবেন৷ কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে জানান সাগর।

তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে স্কুল-কলেজে অনেক যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটলেও তা প্রকাশ পায় না। স্কুল কলেজের গভর্নিং বডি ধামাচাপা দেয়৷ আর কেউ অভিযোগ করলে অনেক সময়ই উল্টো হেনস্তা হতে হয় । বাংলাদেশের কোনো স্কুল কলেজেই তেমন কোন যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি নেই৷ এটা হওয়া প্রয়োজন।