English Version
আপডেট : ১৪ মার্চ, ২০১৬ ০১:০০

খাগড়াছড়িতে আসামী আটককে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৪

আল-মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়িতে আসামী আটককে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৪

খাগড়াছড়িতে চুরির মামলার আসামী আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চার জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।    

আহতরা হচ্ছে-মো: হানিফ (৫৫) আরিফ হোসেন (২৮) জামাল হোসেন (৩২) ও মো: নাঈম। আহতদের মধ্যে মো: নাঈম এর অবস্থা আশঙ্কা হওয়া তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। আহতরা সকলেই শালবনের বাসিন্দা।  

খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার নয়ন ময় ত্রিপুরা বলেন, আহত চার জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে  মো: নাঈম এর অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাকে চট্্রগ্রাম রেফার করা হয়েছে।  

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,ল্যাপটন চুরির মামলাসহ একাদিক মামলার তালিকা ভূক্ত আসামী শাহজাদাকে পুলিশ আটক করার পর দু’গ্রুপের মধ্যে সন্দেহের জের ধরে শালবন,হরিনাথপাড়া,আর্দশপাড়া এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। 

খাগড়াছড়ি সহকারী পুলিশ সুপার মো: রইস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুস্কৃতিকারীদের হামলায় ৪ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে আশঙ্কা জনক এক ব্যাক্তিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। জড়িতদের পুলিশ আটকের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি জানান। 

এদিকে, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও স্বাস্থ্য বিভাগের আহবায়ক জাহেদুল আলম এই ঘটনায় খাগড়াছড়ির চিহিৃত সন্ত্রাসীদের দায়ী করে বলেন, যারা চাঁদাবাজী করে সন্ত্রাসী তারাই এঘটনার সাথে জড়িত। দ্রুত জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মুলক শান্তির দাবী জানান। 

এ ঘটনায় খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরা বলেন,খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগে কোন গ্র“পিং নেই। দুস্কৃতিকারীরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।  

খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলম বলেন, পুলিশ চুরির মামলার এক আসামীকে আটক করে। সে এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা গ্রুপের লোক হওয়ায় তার লোক জনেরা শান্তি প্রিয় এলাকাবাসীর উপর হামলা চালিয়ে বাঙ্গালীদের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টির পায়তারা করছে। অপর দিকে পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিক্ত আওয়ামীলীগের দু-গ্রুপ স্থানীয় নেতাকর্মীরা একে অপরকে দায়ী করে। সংঘর্ষের ঘটনায় জতিদের আটক ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে মিছিল বের করে স্থানীয় এলাকাবাসী। এ ঘটনায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।