English Version
আপডেট : ১০ মার্চ, ২০১৬ ১৩:১৪

সাত খুন মামলার জেরা পিছিয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
 সাত খুন মামলার জেরা পিছিয়েছে

নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলার আসামিপক্ষের সময় বাড়ানোর প্রার্থনার কারণে বাদির জেরা আবারও পিছিয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত সকালে এ আদেশ দেন।

পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, বৃহস্পতিবার তারেক সাঈদ, এমএম রানা ও নূর হোসেনের পক্ষে একটি মামলার বাদি সেলিনা ইসলাম বিউটির জেরার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তারেক সাঈদের পক্ষের আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সাক্ষ্য শুনানির জন্য সময় প্রার্থনা করেন। আদালত ১৪ মার্চ পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

সাত খুনের ঘটনায় অাটক রয়েছেন ২৩ জন। পলাতক ১২ জন। ৩ মার্চ সেলিনা ইসলাম বিউটির প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সেদিন তিন আসামির পক্ষে (নূর হোসেন, তারেক সাঈদ ও এম এম রানার) পক্ষে সময় প্রার্থনা করায় ওই তিনজন ছাড়া উপস্থিত অপর ২০ আসামি ও পলাতক ১২ আসামির পক্ষের আইনজীবীরা বিউটিকে জেরা করেন।

এরপর সময় আবেদন করায় ১০ মার্চ (বৃহস্পতিবার) পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত। জেরা শুরুর আগে বৃহস্পতিবার সকালে আসামি তারেক সাঈদের পক্ষের আইনজীবী সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আশরাফুজ্জামান ও গোলাম কিবরিয়া আদালতকে জানান, ৭ খুন মামলা বাতিল ও অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

রিটের নিষ্পত্তি এখনও হয় নাই। তাছাড়া চার্জশিটের পূর্ণাঙ্গ সার্টিফাই কপি এখনও হস্তগত হয় নাই। তাই এখন বাদিকে জেরা করা যাচ্ছে না। সময় প্রয়োজন। পরে আদালত ১৪ মার্চ জেরার দিন ধার্য করেন।

এ বিষয়ে বাদিপক্ষের আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘নানা অজুহাতে বিভিন্ন আবেদন করে মামলাটি দীর্ঘসূত্রিতা করানো হচ্ছে। এতে আসামিপক্ষের লোকজন সুযোগ সুবিধা পাবে। আমরা মামলার সুষ্ঠু বিচার নিয়ে শঙ্কিত।’

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।