English Version
আপডেট : ৮ মার্চ, ২০১৬ ১৬:৩২

যে দুই অপরাধে মীর কাশেম আলীর ফাঁসির আদেশ

অনলাইন ডেস্ক
যে দুই অপরাধে মীর কাশেম আলীর ফাঁসির আদেশ

জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সদস্য ও দলটির অন্যতম প্রধান অর্থ যোগানদাতা হিসেবে সুপরিচিত মুখ এবং দিগন্ত মিডিয়া এণ্ড পাবলিকেশনস্ এর চেয়ারম্যান মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, অপহরণ, নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৪টি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে ১০টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়।তখন তাকে ট্রাইব্যুনাল দুই অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেন। আজ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগও সেই রায় বহাল রাখেন।  

এরআগে ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর হত্যাকাণ্ডের ২ অভিযোগে মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং নির্যাতনের ৮ অভিযোগে ৭২ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

যে দুই অভিযোগে মীর কাসেম আলীর ফাঁসির আদেশ:

১১ নম্বর অভিযোগ, ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধা জসিমকে অপহরণ করে আলবদর সদস্যরা। মীর কাসেমের নির্দেশে তাকে চট্টগ্রামের ডালিম হোটেলের নির্যাতনকেন্দ্রে নিয়ে হত্যা করা হয়। পরে সেখানে নির্যাতনের শিকার আরও পাঁচজনের মরদেহের সঙ্গে জসিমের মরদেহ কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দেয়া হয়।

১২ নম্বর অভিযোগ, মীর কাসেমের নির্দেশে আলবদররা চট্টগ্রামের হাজারী গলির ১৩৯ নম্বর বাড়ি থেকে রঞ্জিত দাস ও টুন্টু সেনকে অপহরণ করে ডালিম হোটেলে নিয়ে যায়। পরে তাদের হত্যা করে লাশ গুম করা হয়।

মোট ১৪ টি অভিযোগের মধ্যে প্রমাণ না হওয়ায় ৪টি অভিযোগে খালাস দেওয়া হয় মীর কাসেম আলীকে।