মীর কাসেমকেও ছাড় দেয়া হবে না: গণজাগরণ মঞ্চ

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীর আপিলের রায় নিয়ে শঙ্কিত গণজাগরণ মঞ্চ। এই মামলায় দেশের মানুষ ন্যায়বিচার পাবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মঞ্চের নেতারা। গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলছেন, কাদের মোল্লাকে যেমন ছাড় দেওয়া হয়নি, মীর কাসেমকেও দেওয়া হবে না।
মীর কাসেমের আপিলের রায় নিয়ে আশঙ্কা এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে মঞ্চ গত কয়েক দিন ধরেই শাহবাগে অবস্থানসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার এই সংগঠন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধে মীর কাসেমকে দুটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মোট ১০টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন মীর কাসেম। সেই আপিলের রায় কাল মঙ্গলবার দেওয়ার দিন ধার্য রয়েছে। গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, ১৪ জন প্রত্যক্ষ সাক্ষী দেওয়ার পরও যদি মৃত্যুদণ্ড না হয়, সে ক্ষেত্রে রাজাকার কাদের মোল্লাকে যেভাবে দেশের মানুষ ছাড় দেয়নি, তেমনি মীর কাসেমকেও কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। কঠোর অবস্থান কর্মসূচি নেওয়া হবে। কালকের রায়কে সামনে রেখে আজ সোমবার বিকেলে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি। ইমরান বলেন, ‘আমরা আশাবাদী প্রত্যাশিত রায় পাওয়া যাবে। কিন্তু তারপরও এ নিয়ে নানা কারণে মানুষের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।’ শঙ্কার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, অভিযোগ প্রমাণের পরও জামায়াতে ইসলামীর অর্থের জোগানদাতা বলে পরিচিত মীর কাসেমের পক্ষে অনেকেই রায়কে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁর এত শক্তির উৎস কোথায়, টাকা। পরবর্তী সময়ে দেখা গেল, আপিলের পর মিলিয়ন ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করেছেন। সারা বিশ্বব্যাপী লবিংয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে। তার পরিবার গণমাধ্যমকে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এই অর্থের জোগানদাতা হিসেবে ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। মঞ্চের মুখপাত্র বলেন, উচ্চ আদালত থেকে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নজরুল ইসলাম কীভাবে মীর কাসেমের পক্ষে দাঁড়ান? নজরুল ইসলামের সুপ্রিম কোর্টের সহকর্মীরা এখনো কর্মরত আছেন এবং তারাই মামলাটির বিচার করবেন। নজরুল ইসলাম এই মামলার প্রসিকিউশনের দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রধান বিচারপতির বক্তব্যেও অসঙ্গতি ধরা পড়ছে।