English Version
আপডেট : ৪ মার্চ, ২০১৬ ১৬:৫০

এটিএম বুথের টাকা লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক
এটিএম বুথের টাকা লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

 

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের টাকা লুটের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা ডাকাতিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরা হলেন : কালিয়াকৈর উপজেলার বাসিন্দা মিন্টু ও বোর্ডবাজার এলাকার বাসিন্দা নাইমুল ইসলাম।

কালিয়াকৈর থানার ওসি আব্দুল মোতালেব মিয়া জানান, শুক্রবার ভোরে কালিয়াকৈর রাখালিয়াচালা থেকে মিন্টুকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে বোর্ডবাজার এলাকা থেকে নাইমুলকে আটক করা হয়।

তিনি বলেন, ''তারা টাকা লুটের ঘটনায় একে অপরকে দোষারোপ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে লুটের ঘটনায় আরও ছয়জনের তথ্য দিয়েছে।''

কালিয়াকৈর থানার ওসি আব্দুল মোতালেব মিয়া জানান, নিরাপত্তা ও এটিএম ব্যবস্থাপনা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান 'মানিপ্ল্যান্ট'-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আফজালুল আবেদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে লুট হওয়া টাকার পরিমাণ এক কোটি ৮৩ লাখ ২১ হাজার ৫০০ লেখা হয়েছে বলে জানান ওসি।

বুথের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আগের দিন পুলিশ প্রথমে লুট হওয়া টাকার পরিমাণ এক কোটি দুই লাখ টাকা বললেও পরে জানানো হয়, টাকার পরিমাণ এক কোটি ৯৪ লাখ ৯৭ হাজার। আর এজাহারে দেখানো হয়েছে অন্য একটি অঙ্ক। ওসি বলেন, ''ওই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মী ও দুই কর্মকর্তা টাকা লুটের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি।''

মানিপ্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকার মিরপুরে তাদের প্রধান কার্যালয় থেকে ৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা নিয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংকের বিভিন্ন বুথে দেওয়ার জন্য একটি মাইক্রোবাসে করে বের হন কর্মীরা। মাইক্রোবাসে ছিলেন পাঁচজন : চালক শাজাহান মিয়া, নিরাপত্তাকর্মী এবারত ফকির ও ওয়াদুত মোল্লা এবং গানম্যান জিয়াউর রহমান ও শেখ খেলাফত হোসেন। তারা রাত পৌনে ১১টা থেকে আশুলিয়া, নরসিংহপুর, জামগড়া ও কোনাবাড়ির কয়েকটি বুথে টাকা লোড ও অফলোড করেন। রাত আড়াইটার দিকে কালিয়াকৈরের হরিণহাটি এলাকায় অ্যাপেক্স ফুটওয়ারের গেইটের পাশে ডাচ বাংলার ফার্স্ট ট্র্যাক বুথে যায় মানিপ্ল্যান্টের এই দলটি। বুথের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মী এজাব উদ্দিন ও লোকমান হোসেনের উপস্থিতিতে তারা মাইক্রোবাস থেকে দুটি ট্রাংক নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন।

বুথে নেওয়ার সময়ই লুট হয় টাকাভর্তি ট্রাংক দুটি। এ সময় অজ্ঞাতপরিচয় ১২-১৩ জন লোক নীল রংয়ের একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে ওই বুথে আসে এবং রড, চাপাতিসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিরাপত্তাকর্মী, গানম্যান ও মাইক্রোবাসচালককে মারধর করে। একপর্যায়ে ৪-৫ জন বুথে প্রবেশ করে টাকার ট্রাংক লুটে নেয় এবং পরে ডাকাতদলটি চন্দ্রার দিকে পালিয়ে যায় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।