English Version
আপডেট : ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ২০:১৮

ঠাকুরগাঁওয়ে ভাটায় পুড়ছে কাঠ হুমকির মুখে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য

রাসেদুজ্জামান সাজু, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ে ভাটায় পুড়ছে কাঠ হুমকির মুখে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য

সরকারি বিধি বিধান অমান্য করে। উন্নত প্রযুক্তিতে রুপান্তিত না হওয়ার কারনে পরিবেশ বিধিমালা লংঘন করে ঠাকুরগাঁও  ইট ভাটা গুলোতে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এসব ভাটায় দেখা যায় ইটের থেকে কাট খড়ির সংখ্যা বেশি। বসতবাড়ীর আশে পাশে ও কৃষি জমিতে গড়ে উঠা ইট ভাটা গুলোতে আইন না মেনে কাঠ পুড়িয়ে ফলজ বৃক্ষ ধংস ও পরিবেশ দুষণ করছে। ফলে এলাকার জনস্বাস্থ্য বিশেষ করে শিশু ও কিশোররা হুমকির মুখে পড়েছে। জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও জেলার  ইটভাটার সংখ্যা প্রায় ৫০টি ওপরে  । এর মধ্যে অনেক গুলোরই বৈধ কাগজ পত্র ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন অনুমোদন নেই। এসব পুরনো চিমনি পদ্ধতিতে ইট পোড়ানোর কাজ চলে। অধিকাংশ ভাটার মালিক স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ার কারনে গ্রামের বসত-বাড়ীর আশে পাশে ও কৃষি জমিতে অপরিকল্পিত ভাবে ভাটা গড়ে উঠলেও সাধারন মানুষ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। ইটভাটায় কয়লা পোড়ানোর আইনগত নির্দেশ থাকলেও সুযোগ পেলেই ভাটায় কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরী করা হচ্ছে। এতে ফলবান বৃক্ষ উজাড় হচ্ছে। দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে মাটির উর্বরতা ও আবাদি জমির পরিমান। ভাটার চুলি¬র চিমনি নির্ধারিত মাপের চেয়ে নিচু হওয়ায় ভাটার নির্গত বিষাক্ত ধোয়ার কারনে পার্শ্ববতী ফসলের ক্ষেত ও জনজীবন মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভাটার কর্মরত শ্রমিকরাও ধুলো ধোঁয়ার কারনে শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আবাদী জমি ইট পোড়ানোর কাজে ব্যবহার হওয়ায় জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যা পুনরায় স্বাভাবিক চাষবাদের উপযোগি করতে প্রায় ১০/১২ বছর সময় লেগে যায়। ভাটার কালো ধোঁয়া নিকটবর্তী জমির ফসল ও ধানের অপুষ্ট শীষ নষ্ট করে দেয়। ভুমি  উপরি ভাগের জীব বৈচিত্র বিনষ্ট হয়। ইট ভাটার জন্য দেশে প্রচলিত আইন থাকলেও. ঠাকুরগাঁও এ তার কোন প্রয়োগ নেই বললেই চলে। সদর  উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়,  প্রকাশ্যে কাঁঠ পোড়ানো হচ্ছে। ইটভাটায় বেআইনী ভাবে কাঠ পোড়ানোর বিষয় নিয়ে  কথা বললে তিনি জানান- আমি তো একাই কাঠ পুড়ছিনা। দেখেন অনেক ভাটাতেই কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। ইট ভাটাটি শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর মারাক্তক ক্ষতি করছে বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ। স্থানীয় প্রশাসন এসব ভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় প্রতি বছর বে-আইনি ইট ভাটার সংখ্যা বাড়ছে। ০১৭৭২৪৩৯০৫২