English Version
আপডেট : ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৪:২২

নারায়ণগঞ্জের ৭ খুনের ২ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জের  ৭ খুনের ২ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে
আলোচিত সাত খুনের দুটি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে। সোমবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথমে আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা ডা. বিজয় পালের পরে নজরুলের স্ত্রী বিউটির সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। এর আগে সোমবার সকালে তারেক সাঈদ ও নুর হোসেনসহ ২৩ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতের কাঠগড়ায় হাজির করা হয়। কোর্ট পুলিশের পরির্দশক হাবিবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত বছরের ১৭ জুন সাত খুনের ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন র‌্যাব-১১ এর চাকরিচ্যুত অধিনায়ক ও অবসরে পাঠানো সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল তারেক সাঈদ। ৪ জুন র‌্যাব-১১ এর উপঅধিনায়ক ও অবসরে পাঠানো মেজর আরিফ হোসেন ও পরদিন ৫ জুন নৌ বাহিনীর কমান্ডার এম এম রানা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এদিকে, গত বছরের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার এবং তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন। ৩০ এপ্রিল বিকালে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জন এবং ১ মে সকালে অপরজনের লাশ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় নিহত নজরুলের শ্বশুর ছয় কোটি টাকার বিনিময়ে র‌্যাব তাদের হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন। পরে এ ঘটনায় সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। তবে ভারতে পালিয়ে যান নূর হোসেন। সাত খুনের ঘটনার পরেই ত্রাণমন্ত্রী ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা তারেক সাঈদ ও তার অধস্তনদের বিরুদ্ধে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে।
 
এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে গত ১৬ মে রাতে তারেক সাঈদ ও আরিফ হোসেন এবং ১৭ মে এম এম রানাকে আটক করে পুলিশ। র‌্যাবের এ তিন কর্মকর্তাকে প্রথমে প্রত্যাহার এবং পরে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।