যজ্ঞেশ্বর রায় হত্যা; মুল খুনী জেএমবি ক্যাডার রমজান

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে সন্তগৌড়িয় মঠের হিন্দু ধর্মগুরু যজ্ঞেশ্বর রায়ের মূল খুনির ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পেরেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার জেএমবি সদস্যদের মধ্যে রমজান আলী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যজ্ঞেশ্বর রায়কে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন। এর আগে শুক্রবার ধর্মগুরু হত্যায় অংশ নেওয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারের করা হয়।
এদের মধ্যে মূল খুনি, হত্যাকাণ্ডের আগে-পরে যার বাসায় অস্ত্র রাখা হয়েছিল এবং ঘটনাস্থলসহ আশপাশে নজরদারি করেছে, এমন ব্যক্তিও রয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন হুমায়ুন কবির। ওই সময় পুলিশ গ্রেপ্তারদের নাম-পরিচয় না জানালেও পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সাংবাদিকরা দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হন। এরা হলেন উপজেলার সুন্দরদীঘি ইউনিয়নের কালীর ডাঙ্গা সোটাপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক হারেজ আলী (৩২) ও দণ্ডপাল ইউনিয়নের কালীগঞ্জ মসজিদপাড়া গ্রামের মৃত আবুল খায়েরের ছেলে রমজান আলী (২২), যাকে মূল খুনি বলছেন পুলিশ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। শনিবার আদালতে হাজির করার পর গ্রেপ্তার আরেকজনের নাম আলমগীর হোসেন (২৮) বলে জানা যায়।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি উপজেলার সোনাপোতা গ্রামে সন্তগৌড়িয় মঠের পুরোহিত যজ্ঞেশ্বর রায়কে দুর্বৃত্তরা চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে।
ডিআইজি হুমায়ুন কবির বলেন, রমজান আলী ঘটনার তিনদিন আগে হত্যায় ব্যবহারের অস্ত্রগুলো আলমগীরের বাসায় রাখে। ঘটনার আগেরদিন অস্ত্রগুলো হারেজের গোয়ালঘরে নিয়ে রাখা হয়। ওইদিন রমজানসহ আরেকজন হারেজের বাসায় রাতযাপন করে ফজরের নামাজ পড়ে তারা অপারেশনে যায়। প্রথমেই যে দুজন পুরোহিতের কাছে যায় তাদের মধ্যে রমজানই পুরোহিতকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে।
রমজানই পুরোহিতের মূল খুনি। রমজান, আলমগীর ও হারেজ দীর্ঘদিন ধরে জেএমবির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে তিনি দাবি করেন।যজ্ঞেশ্বর রায়কে হত্যার পর খুনিরা একটি বাজারে অপেক্ষায় থাকা হারেজের কাছে অস্ত্রগুলো বুঝিয়ে দেয়। সে সময় তারা হারেজকে বলে, অন্য অপারেশনে যাওয়ার আগে তারা অস্ত্রগুলো নিয়ে যাবে, বলেন হুময়ুন হবির।
রমজানের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন জানা গেছে, তিনি নীলফামারির ডোমার কলেজে স্নাতক (বিএ) প্রথম বর্ষের ছাত্র। সেখান থেকেই তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন। তিনি জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।