English Version
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ২০:৪৬

ময়নামতি জাদুঘরে ভাঙচুর চালাল ছাত্ররা!

নিজস্ব প্রতিবেদক
ময়নামতি জাদুঘরে ভাঙচুর চালাল ছাত্ররা!

 

কুমিল্লার ময়নামতি জাদুঘরে প্রবেশে টিকেট নিয়ে বাকবিতণ্ডার জের ধরে ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যসহ কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে জেলার কোটবাড়ি এলাকার ময়নামতি জাদুঘরে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ- র‌্যাব ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মোহাম্মদপুর এলাকার ন্যাশনাল মডেল ইন্সটিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা ৫টি বাসযোগে প্রায় ৩শ জন শিক্ষাসফরের উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার কুমিল্লায় আসে। তারা প্রথমে ময়নামতি এলাকার ওয়ার সিমেট্রি পরিদর্শন শেষে বিকাল ৩টার দিকে ময়নামতি জাদুঘরে যায়। সেখানে টিকেট কাউন্টার দিয়ে প্রবেশের সময় জাদুঘরের কর্তব্যরত কর্মচারীরা সকলের টিকেট দেখানোর জন্য বলে এবং সারিবদ্ধভাবে জাদুঘরে প্রবেশের জন্য নির্দেশনা দেয়। এ নিয়ে জাদুঘর কর্মচারীদের সঙ্গে সফরে আসা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে টিকেট কাউন্টারে হামলা চালিয়ে কাউন্টারের দরজা, জানালা ও চেয়ার ভাঙচুর করে।

এ সময় জাদুঘরের নিরাপত্তাকর্মী আনসারের ব্যাটালিয়ন সদস্যরা বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আনসার সদস্য রায়হান (৩৫), রোকন (২৮), জাদুঘরের টিকেট কাউন্টারের সহকারী নুরু মিয়া (৫০) ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ১০ম ব্যাচের ছাত্র মেহেদী হাসানসহ কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়। এ সময় জাদুঘর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে এলাকার লোকজন ওই ইন্সটিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জাদুঘরের ভিতরে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ও র‌্যাব ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সন্ধ্যায় বিষয়টি সুরাহার লক্ষ্যে জাদুঘরের রেস্টহাউজে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. আইনুল হক, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক মো. সাদিকুজ্জামান, সহিদুল ইসলাম, আনসার ও ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম, সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ আইয়ুব, জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান আহমেদ আবদুল্লাহসহ পুলিশ-র‌্যাব ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা বৈঠক বসেন।

ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান আহমেদ আবদুল্লাহ জানান, টিকেট নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ন্যাশনাল মডেল ইন্সটিটিউটের প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা হামলা চালিয়ে টিকেট কাউন্টারের দরজা, জানালা ভাঙচুর করেছে। পরে প্রশাসনের উপস্থিতিতে বৈঠকে ঘটনার সমঝোতা হয়েছে।

এই অভিযোগ অস্বীকার করে ন্যাশনাল সার্ভে ইন্সটিটিউটের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াছ মিয়া জানান, অনাকাঙ্খিতভাবে এ ঘটনাটি ঘটে গেছে। টিকেটের বিষয়টি নিয়ে কাউন্টারে আলোচনার সময় ভুল বোঝাবুঝির কারণে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।