English Version
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৪:১৮

ধর্মগুরু হত্যার ৩ আসামি ১৫ দিনের রিমান্ডে; শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক
ধর্মগুরু হত্যার ৩ আসামি ১৫ দিনের রিমান্ডে; শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন

 

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে হিন্দু ধর্মগুরুকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। তিন আসামীর নাম খলিলুর রহমান (৫৫), বাবুল হোসেন (২৮) ও জাহাঙ্গীর হোসেন। এদের মধ্যে প্রথম দুজন ‘জেএমবি সদস্য’ এবং অন্যজন ইসলামী ছাত্রশিবিরের স্থানীয় নেতা।

পুলিশের পক্ষ থেকে দুই মামলায় মোট ২০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মার্জিয়া খাতুন শুনানি শেষে প্রত্যেককে মোট ১৫ দিন করে হেফাজত মঞ্জুর করেন। বলে পিপি আমিনুর রহমান জানান। তিনি বলেন, হত্যা মামলায় ১০ দিন ও বিস্ফোরক মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

এদিকে হিন্দু মঠের অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বর রায় হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে উপজেলার বিজয় চত্বরে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-ঐক্য পরিষদ, জাগো হিন্দু পরিষদ, ক্ষত্রিয় সমিতি, আওয়ামী লীগ, জাসদ ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) মানববন্ধন করেছে। মঠের পূজারি রাধামাধব দাশ বলেন, মঠে সকালে মঙ্গল আরোতি হয়েছে এবং গুরুর জন্য প্রার্থনা করা হয়।

রোববার সকালে দেবীগঞ্জের সোনাপোতা গ্রামের সন্তগৌড়ীয় মঠের অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বর রায়কে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পালানোর আগে তাদের গুলি ও বোমায় আহত হন আরও দুজন। ধারাল অস্ত্র  ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তিন মোটর সাইকেল আরোহী ওই হামলায় অংশ নেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই রবীন্দ্রনাথ একটি হত্যা মামলা করেন। অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা করে পুলিশ। দুই মামলাতেই অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনকে আসামি করা হয়। দেবীগঞ্জ সদরের মধ্যপাড়া থেকে সোমবার বিকালে নাজমুস সাকিব নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকেও এ মামলায় আটক করা হয়েছে বলে তদন্ত কর্মকর্তা আইযুব আলী জানিয়েছেন।