English Version
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৯:৫৯

শহীদ মিনারে এ কেমন নোংরামি!!

শহীদ মিনারে এ কেমন নোংরামি!!

 

একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে যখন সারাবিশ্ব গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে ভাষা শহীদদের; সেই একই দিনে শহীদ মিনারকে ঘিরে নোংরামি করল এদেশেরই কিছু যুবক! শুধু তাই নয় ফেসবুকে সেই নোংরা ছবিগুলো প্রকাশ করে বাহাদুরি দেখানোর চেষ্ঠাও করেছিল তারা। কিন্তু অসংখ্য ফেসবুক ব্যাবহারকারীদের তীব্র সমালোচনার কবলে পরে সরিয়ে নেয়া হয় ছবিগুলো।

ঘটনার নায়কের নাম এসপি সোহেল রানা। তার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে জানা যায়, সে চট্টগ্রামের চরলক্ষ্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক। যদিও এ বিষয়ে নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। ফেসবুকে সমালোচনা শুরু হবার পর সে তার প্রোফাইল ছবি ও কাভার ছবি পাল্টে ফেলে। সেই সাথে এই ঘটনার দায় অস্বীকার করে স্ট্যাটাস দেয়।

 

 

 

 

এর আগে সে একাধিক ছবি পোস্ট করে। ছবিগুলোতে বন্ধুদের সাথে শহীদ মিনারে তাকে অশালীন কাজে মত্ত অবস্থায় দেখা যায়। একটি ছবিতে দেখা যায় শহীদ বেদীর উপর সে শুয়ে আছে এবং তার সঙ্গীরা শহীদ বেদী থেকে ফুল নিয়ে তার উপর চাপাচ্ছে! সোহেল রানা ছবিটির ক্যাপশন দিয়েছে “এইভাবে আমাদের মাঝ থেকে চলে গেলেন ভীত শ্রেষ্ঠ মুহাম্মদ অমুক। জানা যায়, শহীদ মিনারে অনেক ফুল দেখে অবাক হয়ে সজ্ঞানে জিনতে কাল করেন”। ছবিটিকে এডিট করে সেখানে কিছু টেক্সট বাবল দেয়া হয়। সেগুলিতে লেখা ছিল “ফহিন্নী শহীদরে ফুল দিত আইয়া নিজেই শহীদ হইয়া গেল। জদলি ডেকারোশেন এর ব্যাবস্থা কর”; “কি মজা মেজবান খামু” সহ আরও নোংরা কিছু কথা।

আজ দুপুর দুইটার দিকে ফেসবুকে ছবিগুলো আপলোড হবার পর সমালোচনার ঝড় উঠে ফেসবুকে। দেশপ্রেমিক অনলাইন এক্টিভিস্টরা তাদের স্ট্যাটাসে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।

এধরনের অপর কাজটি করেন অপূর্ব চৌধুরি নামের এক ব্যাক্তি। জানা যায় তিনি লন্ডন প্রবাসী বাঙ্গালী লেখক। তার "অনুকথা" নামক একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বিভিন্ন স্থানে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেন।