English Version
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১১:৪১

ভিডিওতে দেখুন কিভাবে ১২০০ এটিএম কার্ডের তথ্য চুরি হলো!!

অনলাইন ডেস্ক
ভিডিওতে দেখুন কিভাবে ১২০০ এটিএম কার্ডের তথ্য চুরি হলো!!

 

বেসরকারি ইস্টার্ন, সিটি ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) চার এটিএম বুথে কার্ডের তথ্য-উপাত্ত বা ডেটা চুরির যন্ত্র ‘স্কিমিং ডিভাইস’ বসানো অবস্থায় ওই সব বুথে ১ হাজার ২০০ কার্ডের লেনদেন হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানা গেছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে আরও জানা যায়, গতকাল পর্যন্ত বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে ৪০টি কার্ড ক্লোন করে গ্রাহকের অজান্তে প্রায় ২০ লাখ টাকা তুলে নেওয়ার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই ৪০টি কার্ডের সিংহভাগই উল্লিখিত তিন ব্যাংকের। ৬ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজধানীর গুলশান, মিরপুরের কালশী ও বনানী এলাকার ইস্টার্ন, সিটি ও ইউসিবির চার বুথে স্কিমিং ডিভাইস বসিয়ে কার্ড জালিয়াতি ও পরবর্তী সময়ে গ্রাহকের অজান্তে টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটে।

ঘটনা জানাজানি হয় ১২ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার। ওই দিন ইস্টার্ন ব্যাংকের একাধিক গ্রাহক মুঠোফোনে খুদে বার্তার মাধ্যমে নিজেদের হিসাব থেকে টাকা তুলে নেওয়ার বিষয়টি জেনে ব্যাংকে অভিযোগ করেন। একসঙ্গে বেশ কিছু গ্রাহকের অভিযোগ পেয়ে ব্যাংক তদন্তে নামলে এ জালিয়াতির বিষয়টি জানাজানি হয়। কার্ড জালিয়াতির এ ঘটনায় রাজধানীর পল্লবী থানায় আরও একটি মামলা হয়েছে। গত সোমবার সিটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ মামলা করা হয়।

এর আগে গত শুক্রবার এ জালিয়াতির ঘটনায় বনানী থানায় মামলা করেছিল ইউসিবি। ইউসিবির মামলাটি এখন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) তদন্তাধীন রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

এদিকে জালিয়াতির ঘটনায় ইস্টার্ন ব্যাংকের যে ২১ জন গ্রাহকের হিসাব থেকে টাকা তুলে নেওয়ায় ঘটনা ঘটেছে, সেসব গ্রাহককে আগামীকাল বৃহস্পতিবার টাকা ফেরত দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমানের উপস্থিতিতে এ টাকা ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ইস্টার্ন ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান জিয়াউল করিম বলেন, ২১ জন গ্রাহকের যার যত অর্থ খোয়া গেছে পুরোটাই ফিরিয়ে দেওয়া হবে। সরাসরি গ্রাহকের হাতে এ অর্থ তুলে দিতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

জানা গেছে, পুলিশের পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে র্যাবও কাজ করছে। র্যাবের পক্ষ থেকেও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর এটিএমের গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও চিত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। এদিকে গতকাল থেকে প্রায় সব ব্যাংকের এটিএমে আন্তব্যাংক লেনদেন সচল হয়েছে।

প্রথম আলোর সৌজন্যে পাওয়া ভিডিওটিতে দেখে নিন কিভাবে স্কীমিং ডিভাইস বসিয়ে এটিএম থেকে টাকা চুরি করা হয়েছিল!