English Version
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৯:১৯

নারায়ণগঞ্জে সম্পাদক মাহ্ফুজের বিরুদ্ধে আটক পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জে সম্পাদক মাহ্ফুজের বিরুদ্ধে আটক পরোয়ানা

ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য ডেইলি স্টার’-এর সম্পাদক মাহ্ফুজ আনামের বিরুদ্ধে আজ মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জে করা মানহানির মামলায় আটক পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

এই মামলাটিসহ মঙ্গলবার মাহ্‌ফুজ আনামের বিরুদ্ধে ১১ জেলায় মোট ১২টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১১টি মামলায় মানহানির অভিযোগ। এবং একটিতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে।

জানা যায়, আজ মঙ্গলবার বরিশালেই দুটি মামলা করা হয়েছে। অন্য মামলাগুলো হয়েছে পাবনা, নারায়ণগঞ্জ, সাতক্ষীরা, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, লালমনিরহাট, শেরপুর, ঝালকাঠি ও বাগেরহাটে।

মাহ্ফুজ আনামের বিরুদ্ধে গতকাল সোমবার ১৭ জেলায় বিচারিক হাকিম আদালতে ১৭টি মামলা হয়। এর আগে গত রোববার বিভিন্ন স্থানে ১৩টি এবং তারও আগে পাঁচটি মামলা হয়। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ডেইলি স্টার সম্পাদকের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ৪৭টি মামলা হলো।

এ মামলাগুলোর বাদী আওয়ামী লীগ, সমমনা সংগঠনের নেতা ও আইনজীবীরা। এসব মামলার অধিকাংশ মানহানিসহ রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মাহ্ফুজ আনামের বিরুদ্ধে করা বেশির ভাগ মামলার অভিযোগ প্রায় একই রকম। এক-এগারোর সময় একটি গোয়েন্দা সংস্থার নির্দেশনা বাস্তবায়নে গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করতে এবং আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে ‘ডেইলি স্টার’-এর সম্পাদক তাঁর পত্রিকায় মিথ্যা, বিকৃত ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করেছেন।

৪ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে এক-এগারোর সময় সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের বিচ্যুতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মাহ্ফুজ আনাম তাঁর পত্রিকায়ও এমন ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছিল বলে স্বীকার করেন।

পরদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তাঁর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় নিজের ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে ‘ডেইলি স্টার’-এর সম্পাদকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তুলে বিচার চান। এক দিন পর ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে কয়েকজন সাংসদ ‘ডেইলি স্টার’ বন্ধ করা এবং মাহ্ফুজ আনামের পদত্যাগ ও বিচার দাবি করেন। এর পরদিন থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেওয়া হচ্ছে।