English Version
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৬:২৬

অভিজিৎ হত্যার তদন্তে শম্বুকগতি; অজুহাত ফরেনসিক রিপোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
অভিজিৎ হত্যার তদন্তে শম্বুকগতি; অজুহাত ফরেনসিক রিপোর্ট

 

দীর্ঘ একবছরেও বিজ্ঞান লেখক মুক্তচিন্তক অভিজিৎ রায় হত্যাকান্ডের কোন “ক্লু” খুঁজে পায়নি পুলিশ। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) কারণেই বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ধীর গতিতে চলছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম এ কথা বলেন।

মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিজিত হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল থেকে ১১টি আলামত এফবিআই নিয়ে যায় পরীক্ষার জন্য। তাদের ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্ট এখনো হাতে না পাওয়ায় অভিজিত হত্যার তদন্ত ধীর গতিতে চলছে। হত্যাকাণ্ডের পর এফবিআই ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত আলামতগুলো পরীক্ষা করে বাংলাদেশ সরকারকে রিপোর্ট প্রদান করবে। কিন্তু একবছরেও আমরা এ রিপোর্ট পাইনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের কেউই এখনো আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়নি। তাই তাদের কিংবা আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের জড়িত থাকার বিষয়টি সম্পর্কে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনায় কমপক্ষে আরও ৭ জন জড়িত রয়েছে। তাদের গ্রেফতার করতে পারলে তারা আনসারুল্লাহর প্রধান জসীমউদ্দিন রাহমানির অনুসারী ছিল কিনা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান তিনি।

মনিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের মাধ্যমে জানা গেছে এফবিআই ইতোমধ্যে কয়েকজনের ডিএনএ প্রোফাইল পেয়েছে। পরীক্ষা প্রক্রিয়া শেষ করে তারা সব রিপোর্ট একসঙ্গে দেবে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার পর টিএসসির সামনে ড. অভিজিত রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও গুরুতর আহত হন।