English Version
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৫:৫৪

নড়াইলে টিআরের ৮ প্রকল্পের টাকা আত্মসাত:জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলে টিআরের ৮ প্রকল্পের টাকা আত্মসাত:জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ

 

নড়াইলের শালনগর ইউপি চেয়ারম্যান লাবু মিয়া ও মাকড়াইল গ্রামের ইউপি সদস্য (ওয়ার্ড-১) আলমগীর হোসেন টিআরের আট প্রকল্পের শতভাগ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে গত ৪ ফেব্র”য়ারি এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

উপজেলা পিআইও কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে বিশেষ কর্মসূচির আওতায় উপজেলার শালনগর ইউনিয়নে ১৫ টি প্রকল্পে নগদ ছয় লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ৪০ হাজার টাকা করে প্রতিটি প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল । আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ¦ল রায়ের তথ্যর ভিত্তিতে জানা যায় কাজ শেষের মেয়াদ ছিল গত ৩০ জুন ২০১৫। এর মধ্যে মাকড়াইল গ্রামে রয়েছে আটটি প্রকল্প। এ প্রকল্পগুলো হলো লে. মতিউর রহমান স্মৃতিফলক সংস্কার, মাকড়াইল শহীদ আ. রাজ্জাক মোল্যার স্মৃতিফলক সংস্কার,  মাকড়াইল নতুন বাজার জামে মসজিদ সংস্কার, মাকড়াইল পুরাতন জামে মসজিদ সংস্কার, মাকড়াইল পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ সংস্কার, মাকড়াইল হাজীপাড়া জামে মসজিদ সংস্কার, মাকড়াইল মধ্যপাড়া জামে মসজিদ সংস্কার ও মাকড়াইল নূরানী মাদ্রাসা সংস্কার। 

উপজেলা পিআইও কার্যালয় সূত্রে আরো জানা গেছে, এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির তিনটির সভাপতি ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন, দুটির সভাপতি আলমগীরের ভাই জাকারিয়া এবং অন্য তিনটির সভাপতি এনায়েত মেম্বর। আলমগীর হোসেন বলেন, এসব প্রকল্প তদবির করে বরাদ্দ করিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান লাবু মিয়া। এর আমি কিছইু জানি না।

মধ্যপাড়া জামে মসজিদের পৃষ্ঠপোষক বাদশা মোল্লা, পুরাতন জামে মসজিদ ও নূরানী মাদ্রাসার সভাপতি আলাউদ্দিন শিকদার এবং হাজীপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি শাহাদত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আটটি প্রকল্পের শতভাগ বরাদ্দের টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। এ প্রকল্পগুলোতে বরাদ্দের খবর গত ১০-১২দিন আগে উক্ত প্রতিষ্ঠান গুলোর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও গ্রামবাসী জানতে পেরে ক্ষুব্দ হয়ে ওঠেন। পুরো এলাকায় এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এরপর গ্রামের লোকজন উপজেলা পরিষদে গিয়ে নির্বাহী অফিসার ও পিআইওর কাছে এ বিষয়ে অবহিত করেন। এরপর এলাকা বাসি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করে বলেন বরাদ্দকৃত অনুদানের টাকা উদ্ধার করে ওই আটটি প্রকল্পের কাজ সঠিক ভাবে সম্পন্ন হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান লাবু মিয়া ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির তিনটির সভাপতি ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন গত কাল শনিবার গ্রামের কাগজকে তাদের বির”দ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই ৮ টি প্রকল্পে কোন কাজ হয়নি সঠিক নয়। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে প্রতিপক্ষ ভাব মুর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য আমাদের বির”দ্ধে মিথ্যা অভিযোগ  করেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সেলিম রেজা বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত করে জেলা প্রশাসককে জানানো হবে।