English Version
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ২০:০২
দুই কিশোরকে পেটানোর ঘটনায়

সেনা, পুলিশসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
সেনা, পুলিশসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চৌবাড়িয়া গ্রামে দুই কিশোরকে দড়ি দিয়ে বেঁধে পেটানো ঘটনায় এক সেনা, পুলিশ সদস্যসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত শনিবার রাতে রাজশাহীর পবা উপজেলার চৌবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মামলার ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে বারিকের ছেলে আজিজুল ইসলামকে (৪৮) আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম।

মামলায় আসামিরা হলেন— পবা উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে রাকিব (২৬), মৃত কফির ছেলে ফজলু মিয়া (৪৫), সমশের আলী ছেলে পলাশ (৩৫), আজিমুদ্দীনের ছেলে সামদী (৪২), সামদীর ছেলে অণিক (২১), আজিজুলের ছেলে উজ্জল (১৮), ফজর আলীর ছেলে মাসিম (৩০), মো. মুনার ছেলে তুহিন (২৬), করিমের ছেলে কমল (২১), কটা মুন্সির ছেলে ও সেনাসদস্য নাসির (৪৭), মৃত দেরাজ আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৪৫), বারিকের ছেলে আজিজুল ইসলাম (৪৮) এবং আমির উদ্দিনের ছেলে ও পুলিশ সদস্য সাগর (২৫)।

পবা থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, শনিবার রাতে জাহিদের বাবার দেওয়া অভিযোগপত্র মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। আজিজুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটক চেষ্টা চলছে। তবে, মামলা করার পর আসামিরা গা ঢাকা দিয়েছে। আটক আজিজুলকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রিজাউল হক চৌধুরী জানান, জাহিদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তবে তাকে আরও কয়েক দিন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রাখা হবে।

এদিকে, রোববার বিকেলে পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম হোসেন আহত জাহিদকে দেখতে পবা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান। এ সময় তিনি জানান, জাহিদের চিকিৎসার সকল খরচ বহন করা হবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সেই সাথে সেনাবাহিনী ও পুলিশে কর্মরত দুজনের ব্যাপারে তাদের দফতরে উপজেলার পক্ষ থেকে রিপোর্ট দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে গত শুক্রবার চুরির অপবাদ দিয়ে জাহিদ হাসান (১৫) ও ইমন আলী (১৩) নামে দুই কিশোরের ওপর নির্যাতন চালান আসামিরা। শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আসামিরা তাদের মারধর করেন এবং মোবাইলে তার ভিডিও করেন। উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার তা ফাঁস হয়ে যায়।