English Version
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১২:৩৮

ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের দায়ে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশী মুয়াজ্জিন গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের দায়ে  নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশী মুয়াজ্জিন গ্রেপ্তার

 

বাংলাদেশীদের জন্য আরও এক লজ্জার খবর। ধর্ম শিখতে আসা নয়বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে যৌন অসদাচরণের অভিযোগে নিউ ইয়র্কের এক মসজিদের বাংলাদেশি মুয়াজ্জিনকে গ্রেপ্তার করেছে সেদেশের পুলিশ। গ্রেপ্তার মোহাম্মদ রানা (৪৬) বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের কাছে আবু হুরায়রা মসজিদের মুয়াজ্জিনের চাকরির পাশাপাশি স্থানীয় শিশুদের আরবি ও ইসলাম ধর্মের শিক্ষা দিয়ে আসছিলেন।

কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ওই শিশুটি গত মঙ্গলবার তার স্কুলের অ্যাসেম্বলির সময় ‘গুড টাচ/ব্যাড টাচ’ শিরোনামে একটি পাপেট শো দেখে তার আরবি শিক্ষকের অসদাচরণের বিষয়টি বুঝতে পেরে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায়।  এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশকে জানালে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের কুইন্স শিশু নির্যাতন স্কোয়াড তদন্তের দায়িত্ব নেয়।

অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ওইদিনই রানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিশুর ওপর যৌন নিপীড়ন ও নিরাপত্তা লঙ্ঘনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়।   ২৫ হাজার ডলারের মুচলেকায় পরদিন রানার জামিন হলেও নগদ অর্থ সংগ্রহ করতে না পারায় তার মুক্তি হয়নি বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। পরবর্তী শুনানির জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি তাকে কুইন্স ক্রিমিনাল কোর্টে হাজির করার কথা রয়েছে। রানা গত সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন সময়ে ক্লাস চলাকালে শিশুটির গায়ে হাত দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে যৌন অসদাচরণ করে আসছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

স্কুল ছুটির পর সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ওই মসজিদে শিশু-কিশোরদের আরবি ও ধর্ম শিক্ষার ক্লাস নেওয়া হয়। মসজিদের একজন কর্মকর্তা জানান, অভিযোগকারী শিশুর মা গত বুধবার বিষয়টি মসজিদের ইমামকে জানালে, তাৎক্ষণিকভাবে রানাকে শিক্ষকতার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। মুয়াজ্জিন রানার মতো ওই শিশুটির বাবা-মাও প্রবাসী বাংলাদেশি।

কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি রিচার্ড এ ব্রাউন বলেন, ওই ব্যক্তি মসজিদে শিশু-কিশোরদের ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার নামে তার ওপর অর্পিত দায়িত্বের অপব্যবহার করেছেন, শিক্ষকতার পবিত্র দায়িত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, যা গুরুতর অপরাধ।

 অভিযোগ প্রমাণিত হলে মোহাম্মদ রানার ৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।