English Version
আপডেট : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৫:২১

সচিবের ছেলের পকেটে ইয়াবা দিয়ে আটকের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
সচিবের ছেলের পকেটে ইয়াবা দিয়ে আটকের অভিযোগ

 

 

সাবেক সিনিয়র এক সহকারী সচিবের ছেলের পকেটে দুই পিস ইয়াবা দিয়ে আটকের অভিযোগ উঠেছে কাফরুল থানার এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই)-এর বিরুদ্ধে। আটককৃত যুবকের পরিবার থেকে অভিযোগের পর অভিযুক্ত এএসআইকে সদর দফতরে তলব করেন কমিশনার ডিএমপি। সদর দফতরে যাওয়ার বিষয় স্বীকার করলেও পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই এএসআই।

জানা গেছে, রবিবার বিকালে মিরপুর ১৩ নম্বর এলাকায় প্রলয় বৈদ্যের (৩৮) কাছে দুই পিস ইয়াবা পাওয়ার অভিযোগে তাকে আটক করেন কাফরুল থানার এএসআই আমিনুল ইসলাম। খবর পেয়ে প্রলয়ের বড় ভাই প্রদীপ বৈদ্য তাকে দেখতে এএসআই’র সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে ঘটনাস্থলে যেতে চান। কিন্তু এএসআই তাকে কোনও স্থানের ঠিকানা না দিয়ে কথা ঘোরাতে থাকেন। এরপর বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ডিএমপি কমিশনারকে জানান প্রলয়ের স্বজনরা।এরপর ডিএমপি কমিশনার ওই এসআইকে ডিএমপি সদর দফতরে তলব করেন বলে জানিয়েছেন প্রদীপ বৈদ্য।

পুলিশের হাতে আটক প্রলয়ের ভাই প্রদীপ বলেন, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের একটি এনজিও’র অ্যাকাউন্টস অফিসার প্রলয় বৈদ্য। আমি আমেরিকায় থাকি। বুধবার আমেরিকা থেকে ঢাকায় আসি। প্রলয় আমার সঙ্গে দেখা করতে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় আসে। বিকালে সে আমাদের মিরপুর-১৩-এর  ৩২১ নম্বর বাসা থেকে বের হয়। এরপর বাসার সামনে থেকে এএসআই আমিনুল তাকে ইয়াবা ব্যবসায়ী সাজিয়ে চাঁদা দাবি করেন, ভয়ভীতি দেখান। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যেতে চাই কিন্তু আমিনুল কোনও ঠিকানা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন। এরপর বিষয়টি আমরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে ডিএমপি সদর দফতরে আমার ভাইসহ ওই এএসআইকে ডাকা হয়।

প্রদীপ বৈদ্য আরও বলেন, সন্ধ্যার সময় আমরা মিরপুরে বিআরটিএ’র অফিসের সামনে গিয়ে এএসআইয়ের কাছে তাকে আটকের বিষয়টি জানতে চাই। এ সময় পুলিশ তার পকেটে হাত দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।

প্রলয়ের ভাই বলেন, আমার ভাইয়ের স্ত্রী একজন স্কুল শিক্ষিকা। আমার একভাই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। আমার বাবা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সুনীল কুমার বৈদ্য। এ বিষয়ে এএসআই আমিনুল বলেন, আমি প্রলয়ের পকেটে ইয়াবা দেইনি। তার পকেটে হাত দিয়ে আমি দুইটি ইয়াবা পেয়েছি। তাই তাকে আটক করি।

আটককৃত প্রলয়কে নিয়ে ডিএমপি সদর দফতরে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রলয়ের স্বজনরা বিষয়টি অল্প সময়ের ভেতরে সবাইকে জানিয়েছে। তাই কমিশনার স্যারের অফিস থেকে আমাকে ডাকা হয়েছে।