English Version
আপডেট : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৯:২৬

পুত্রের হাতে পিতা খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
পুত্রের হাতে পিতা খুন

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় হাবিবর রহমান ধুলু হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। পুত্র আবু হাসান তার পিতার হত্যার দায় স্বীকার করে রোববার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।   আটগ্রামের শাহপাড়ায় গত বছরের ১০ জুন খুন হন ধুলু মিয়া। ওই সময় মামলার আলামতের ভিত্তিতে আত্মহত্যা বলে থানায় একটি ইউডি মালা দায়ের হয়।

মামলাটি বগুড়া পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানের সহযোগিতায় সিনিয়র এএসপি গাজিউর রহমান তদন্ত শুরু করেন। তদন্তকালে সন্দেহ হলে নিহত ধুলুর স্ত্রী সন্তানদের গত শনিবার থানায় নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পুত্র হাসান তার বাবা ধুলুকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। আবু হাসান বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

পুলিশের কাছে হাসান বলেন, তার পিতা নিহত ধুলু অত্যন্ত রাগী ছিলেন। এবং স্ত্রীসহ সন্তানদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। হাসান বিভিন্নভাবে অর্থ সংগ্রহ করে এইচএসসি পাশ করে বগুড়া সরকারী আজিজুল হক কলেজে ডিগ্রী (বিএসসি) শেণিতে ভর্তি হন। ২০১৫ সালের ১০ জুন ১ম বর্ষ পরীক্ষার ফরম পূরনের জন্য বাবার কাছে আড়াই হাজার টাকা চান। বাবা ধুলু ছেলেকে ফরম পূরনের জন্য ৫০ টাকা দিয়ে চলে যান। পরে হাসান বাবার ড্রয়ার থেকে আড়াইহাজার টাকা বের করে নিয়ে যান।

সকাল ৯টায় ধুলু বাড়ি ফিরে ড্রয়ারে উল্লেখিত পরিমান টাকা কম পান। এনিয়ে স্ত্রী এবং বাবার ছোট মেযের উপর চড়াও হন। এবং এক পর্যায়ে ধুলু তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেন।

হাসান বেলা ২ টার দিকে কলেজ থেকে বাসায় ফিরে তার মা এবং বোনের কাছে ঘটনা শুনে রেগে যান। তখন বাড়ির উত্তর পাশের ফাঁকা জায়গা দিয়ে ভেতরে ঢুকে দেখতে পান তার বাবা ঘুমাচ্ছে। ঘুমন্ত বাবার উপর পাশে থাকা হাঁসুয়া দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যান তিনি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।