English Version
আপডেট : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ২০:০৪

পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি: রোকসানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি: রোকসানা

পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায় মিরপুর শাহ আলী থানা। পরে মাদক ব্যবসায়ী পারুল ও সোর্স দেলোয়ারসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা করেছেন মৃত বাবুল মাতব্বরের মেয়ে রোকসানা।

রাজধানীর মিরপুর গুদারাঘাট এলাকায় চাঁদার দাবিতে পুড়িয়ে দেওয়া বাবুল মাতব্বর (৪৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে মারা যান। ঢামেক বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহ্‌ আলী থানার চার পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মো. মারুফ হোসেন সরদার সাংবাদিকদের বলেন, শাহ আলী থানার এসআই মমিনুর রহমান ও নিয়াজউদ্দিন মোল্লা, এএসআই জগিন্দ্রনাথ ও কনস্টেবল জসিমকে ক্লোজড করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওই এলাকায় তারা দায়িত্বে ছিলেন। তাই নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে তাদের ক্লোজড করা হয়েছে।

রোকসানা বলেন, ‘আমার বাবাকে আগুন দিয়ে খুন করার জন্য দায়ী শাহ আলী থানা পুলিশের এসআই, কনস্টেবল, মাদক ব্যবসায়ী পারুলী, পুলিশের সোর্স দেলোয়ার, আইয়ুব আলী ও রবিন। তাদের নামে মামলা করতে থানায় যায়। কিন্তু থানা বলে, পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হবে না। তারা আমাকে বাধ্য করে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা না দিতে।’

তবে শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শাহিন মণ্ডল বাবুল মাতব্বরের মেয়ে রোকসানার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত নয়। পাশাপাশি বলেন, মামলার এক নম্বর আসামি পারুলকে আটক করেছে পুলিশ।

এদিকে, বাবুল মাতব্বর গুদারাঘাট এলাকার সাত নম্বর রোডের এক বাসায় থাকেন। এলাকায় তার একটি চায়ের দোকান আছে। বুধবার রাত ৯.৩০ টায় শাহ আলী থানা পুলিশের নামে তার কাছে চাঁদা দাবি করে। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে কেরোসিনের চুলায় লাঠি দিয়ে বাড়ি দেন। এতে দোকানে আগুন লেগে যায়। এবং বাবুল দদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন।