এবার পুলিশের বিরুদ্ধে প্রবাসী নারীর ডলার ছিনতাইয়ের অভিযোগ!

দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ নিজেরাই যে কত অপরাধে যুক্ত তা একের পর এক বেরিয়ে আসছে। ব্যাংক কর্মকর্তা রাব্বীকে নির্যাতনের ঘটনার পর সাহস করে মুখ খুলছেন অনেকেই। এ কারনেই একের পর এক বেরিয়ে আসছে পুলিশের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের ভয়াবহ চিত্র। এবার যশোরে পুলিশের বিরুদ্ধে ছিনতাই ও চরম দুর্ব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন সুইডেনপ্রবাসী নারী খুকুমনি পারভীন। পুলিশের কতিপয় সদস্য তার ব্যাগ থেকে তিন হাজার ডলার ছিনতাই করেছে এবং তল্লাশির নামে তার সঙ্গে অত্যন্ত অবমাননাকর ব্যবহার করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
নড়াইলের কালিয়া উপজেলা সদরের মিজানুর রহমানের স্ত্রী সুইডিশ নাগরিক খুকুমনি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে সুইডেনে বসবাস করেন। তিনি পেশায় একজন সেবিকা। তার স্বামী মিজানুর রহমানও সুইডেনের নাগরিক এবং একজন প্রকৌশলী।২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর এই দম্পতি দেশে ফেরেন। পয়লা জানুয়ারি খুকুমনি ভারতে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যান। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে তিনি বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে ফেরেন। বেনাপোল বন্দর থেকে তাকে নিয়ে আসতে তার স্বামী মিজানুর রহমান আগেই বেনাপোল বন্দরে পৌঁছান। তারা বেনাপোল পোর্ট থেকে একটি ট্যাক্সি ভাড়া করে কালিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন।বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে যশোর-বেনাপোল সড়কের ঝিকরগাছার পাঁচপুকুর এলাকায় টহল পুলিশ তাকে ও তার স্বামীকে থামায়। এরপর তারা তল্লাশির নামে খুকুমনির হাতব্যাগে থাকা নগদ তিন হাজার ইউএস ডলার ছিনিয়ে নেয়। এ সময় বাধা দিলে পুলিশ খুকুমনি ও তার স্বামী মিজানুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে নানা কটূক্তি করে। তিনি বলেন, ঝিকরগাছা থানার এসআই এজাজ ও সঙ্গীয় ফোর্সরা আমার সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেছেন। খুকুমনির ভাষ্যমতে, এসআই এজাজ আমাকে বলেন, যেহেতু তিন হাজার ডলার পাসপোর্টে এনডোর্স করা নেই, তাই এগুলো অবৈধ। খুকুমনি ও মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন এবং চরম অপমানিত। সে কারণে পুলিশের সঙ্গে এ বিষয়ে আর কোনো কথা বলিনি। দেশে এসে ভাইদের কাছ থেকে এমন ব্যবহার আশা করিনি। কোনো সভ্য দেশের পুলিশ এ ভাষায় কথা বলতে পারে তা চিন্তার মধ্যে ছিল না।
অবশ্য পুলিশ যথারীতি তাদের বিরুদ্ধে আনীত এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ঝিকরগাছা থানার ওসি মোল্লা খবির আহমেদ বলেন, অভিযোগকারীদের বর্ণনা সঠিক নয়। পুলিশ তাদের তল্লাশি করেছে ঠিকই। কিন্তু সুইডেন নাগরিক পরিচয় শোনার পরপরই তাদের সসম্মানে ছেড়ে দেওয়া হয়।এডিশনাল এসপি কে এম আরিফুল হক বলেন, ঘটনাটি যেভাবে শোনা যাচ্ছে আসলে সে রকম কিছু ঘটেছে কি না— তা তদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব না।তিনি অভিযোগকারীদের সংশ্লিষ্ট থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দিতে বলেন।