English Version
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি, ২০১৬ ১২:২৬

আবারও পেছাল সাত খুন মামলার অভিযোগ গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক
আবারও পেছাল সাত খুন মামলার অভিযোগ গঠন

 

নারয়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে দিয়েছে আদালত। আসামিপক্ষের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে সময় বাড়ানো হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন এই শুনানির জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি নতুন তারিখ রেখেছেন।

বুধবার এই শুনানির দিন থাকলেও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগপত্রের অনুলিপি না পাওয়ার কথা বলে সময়ের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন তারিখ ঠিক করে দেন বলে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কেএম ফজলুর রহমান জানান।

মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনসহ ১১ জন এদিন জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে দেন।  এর আগে গত ১১ জানুয়ারি এক আসামিকে অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির না করায় অভিযোগ গঠন এক দফা পিছিয়ে যায়।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাসহ ৭ জনকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ফতুল্লা থানায় একটি এবং আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল আরেকটি মামলা দায়ের করেন। ওই দুটি মামলার তদন্ত শেষে প্রায় এক বছর পর গত ৮ এপ্রিল  নূর হোসেন, র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

কিন্তু অভিযোগপত্র থেকে পাঁচ আসামিকে বাদ দেওয়ায় এবং প্রধান আসামি নূর হোসেনের জবানবন্দি ছাড়া অভিযোগপত্র আদালত আমলে নেওয়ায় ‘নারাজি’ আবেদন করেন সেলিনা ইসলাম বিউটি। আবেদনটি বিচারিক হাকিম আদালত ও জজ আদালতে খারিজ হয়ে গেলে বিউটি উচ্চ আদালতে যান। হাই কোর্টের আদেশে বলা হয়, পুলিশ চাইলে মামলাটির ‘অধিকতর তদন্ত’ করতে পারে এবং ‘হত্যার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনার’ ধারা যুক্ত করে  নতুন করে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পরে।

এ মামলায় নূর হোসেন ও র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৩ জন কারাগারে আটক রয়েছেন। তারা হলেন- সামরিক বাহিনী থেকে বরখাস্ত তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, এম এম রানা ও আরিফ হোসেন, র‌্যাব সদস্য এসআই পূর্ণেন্দু বালা, এএসআই  বজলুর রহমান ও আবুল কালাম আজাদ, হাবিলদার এমদাদুল হক ও নাসির উদ্দিন, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন ও বাবুল হাসান, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্সনায়েক হীরা মিয়া, বেলাল হোসেন, ল্যান্স কর্পোরাল রুহুল আমিন, সিপাহী আবু তৈয়ব, নুরুজ্জামান ও আসাদুজ্জামান নূর এবং নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী ও আবুল বাশার। এছাড়া নূর হোসেনের আরেক সহযোগী বন্দর উপজেলার কুড়িপাড়া এলাকার সেলিম ভারতের কারাগারে আটক রয়েছেন।

পলাতক রয়েছেন র‌্যাবের সার্জেন্ট এনামুল কবীর, এএসআই  কামাল হোসেন, কর্পোরাল মোখলেছুর রহমান, সৈনিক আব্দুল আলিম, মহিউদ্দিন মুন্সী, আল আমিন শরীফ, তাজুল ইসলাম ও কনস্টেবল হাবিবুর রহমান।