English Version
আপডেট : ২১ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৯:২১

মাহফুজ একাই ৫ জনকে খুন করে

নিজস্ব প্রতিবেদক
মাহফুজ একাই ৫ জনকে খুন করে

নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইলে দুই শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার মাহফুজ ওরফে ভাগ্নে মারুফ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে মামি তাসলিমা বেগমসহ পরিবারের পাঁচজনকে তিনি একাই হত্যা করেছেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জে নৃশংস ৫ খুনের ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে মাহফুজ। বৃহস্পতিবার সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম শরীফের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় মাহফুজ।

নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদউদ্দিন। তিনি বলেন, আসামি মাহফুজ ঢাকায় থাকার সময় তার ছোট মামা শরীফের স্ত্রী লামিয়ার কাছে 'যৌন আবেদন' করত। মাহফুজের উত্ত্যক্তের কারণে তারা ঢাকার বাসা ছেড়ে নারায়ণগঞ্জে ভাড়া বাসায় চলে আসে। এখানেও মাহফুজ তার মামীকে (লামিয়া) উত্ত্যক্ত করে। বিষয়টি লামিয়া তার স্বামী শরীফকে জানালে মাহফুজ ক্ষিপ্ত হয়।

তিনি বলেন, আসামি মাহফুজ ঘটনার দিন রাত ৩টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। মাহফুজ আদালতে হত্যায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

গত শনিবার রাতে দুই নম্বর বাবুরাইল এলাকায় শফিকুল ইসলামের ভাড়া বাসার দরজার তালা ভেঙ্গে তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৪০), ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫), শ্যালক মোরশেদুল (২৫) ও ছোটভাই শরীফের স্ত্রী লামিয়ার (২৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঘটনায় মামলার বাদি শফিকুল ইসলামের ভাগ্নে মাহফুজকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এর একদিন পর শরিয়তপুরের ডামুড্যা থেকে গ্রেফতারে পর সন্ধিগ্ধ নাজমা বেগমকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে নাজমা নিহত তাছলিমার কাছ থেকে টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার কোন ধরণের সম্পৃক্ততা ছিল না বলে পুলিশকে জানিয়েছে।