সিঙ্গাপুরে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতারের পর ফেরৎ পাঠানো বাংলাদেশিদের ১৪জন রিমান্ডে

জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে সিঙ্গাপুরে কর্মরত বাংলাদেশি ২৭ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের মধ্যে ২৬ জনকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তির বরাতে বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আইন (আইএসএ) অনুযায়ী গত বছরের ১৬ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তারা সবাই পুরুষ ও দেশটিতে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
বিস্তারিত ঘটনার বিবরণ :
জঙ্গি সন্দেহে সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত পাঠানো ১৪ বাংলাদেশিকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। পরে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। গত সোমবার রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে নথিপত্রে উল্লেখ করেছে পুলিশ। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২৫ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠায় সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ। ফেরত পাঠানো হলে বিমানবন্দর থেকেই এদের আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদে কর্মকর্তাদের কাছে মনে হয় এদের কয়েকজন ঘটনার শিকার। আর বাকি ১৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করা হয়। এই ১৪ জন হলেন টাঙ্গাইলের আমিনুর (৩১), আবদুল আলিম (৩৩) ও শাহ আলম (২৮); কুমিল্লার গোলাম জিলানী (২৬), নুরুল আমিন (২৬) ও মাহমুদুল হাসান (৩০); ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জাফর ইকবাল (২৭); ঝিনাইদহের আকরাম হোসেন (২৭); চুয়াডাঙ্গার আবদুল আলী (৪০); পাবনার আশরাফ আলী (২৭); ঢাকার সাইফুল ইসলাম (৩৬); কুড়িগ্রামের আলম মাহবুব (৩৪); চাঁপাইনবাবগঞ্জের ডলার পারভেজ (৩৫) ও মুন্সিগঞ্জের মোহাম্মদ জসিম (৩৩)। গতকাল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) পরিদর্শক মোস্তফা আনোয়ার ১৪ জনকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। ঢাকার মহানগর হাকিম আমিনুল হক তাঁদের প্রত্যেকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশ দেন। রিমান্ড আবেদনে ডিবি উল্লেখ করে, এই ১৪ জন বাংলাদেশি সিঙ্গাপুরে কাজ করতেন। সেখানেই তাদের নিজেদের মধ্যে পরিচয় হয়। সেখানে তারা জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন সন্দেহে সিঙ্গাপুর পুলিশ তাদের আটক করে দেশে ফেরত পাঠায়। দেশে এসেও তারা আবার সংগঠিত হয়ে জঙ্গি কার্যক্রম শুরু করেন। সোমবার উত্তরা পূর্ব থানাধীন আবদুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ডের পাশে খন্দকার ফিলিং স্টেশনের কাছ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার রাতে ওই ১৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ডিবির পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা সিঙ্গাপুরের মোস্তফা মার্টের কাছে অ্যাঙ্গোলিয়া মসজিদে জড়ো হয়ে বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সদস্য ও অর্থ সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতেন। ওই মসজিদে প্রতি রোববার সন্ধ্যায় তারা একত্র হয়ে জিহাদি বক্তব্য, বয়ান ও জিহাদি ভিডিও দেখতেন। সিঙ্গাপুর পুলিশের কাছে এই জঙ্গি কার্যক্রমের বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর তাদের আটক করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোস্তফা আনোয়ার বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে সিঙ্গাপুর পুলিশ জঙ্গি সন্দেহে তাদের আটক করে পাঠিয়ে দেয় বলে জানতে পেরেছি। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।’
অন্যদিকে আরো আগে সিঙ্গাপুর গত কয়েক দিনে সন্দেহভাজন ২৫ জন বাংলাদেশিকে বিমানবন্দর থেকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। ঢাকার একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেছেন, জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ফেরত পাঠানো এসব বাংলাদেশিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তাদের কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি।
সর্বশেষ গত শনিবার বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে যাওয়া একই পরিবারের তিন সদস্যকে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্তব্যরত পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, ওই তিনজনসহ একই পরিবারের চারজন শনিবারই সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন। সম্ভবত তারা সঙ্গে অস্ত্র ও বিস্ফোরক বা গুলি বহন করছিলেন। নিরাপত্তা তল্লাশিতে ব্যাগে ওসব বস্তুর অস্তিত্ব শনাক্ত হওয়ার পর পরিবারটির এক সদস্যকে আটক করে সিঙ্গাপুরের পুলিশ। আর বাকি তিন সদস্যকে ফেরত পাঠানো হয়। ওই তিনজন শনিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি বিমানে এসে ঢাকায় নামেন। ঢাকা বিমানবন্দর থেকেই তাদের আটক করে নিয়ে গেছে একটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা। ওই তিনজনের নাম, বয়সসহ পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই জানাতে পারেননি ওই কর্মকর্তা।রোববার বিমানবন্দর থানায় যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, থানায় এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।
ঢাকার একটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা বলেছেন, এ নিয়ে গত কয়েক দিনে ২৫ জন বাংলাদেশিকে জঙ্গিবাদে জড়িত সন্দেহে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠিয়েছে সিঙ্গাপুর। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে সন্দেহ হয়েছে ঢাকার কর্মকর্তাদেরও। আর কয়েকজনকে নিরীহ মনে হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যেই তাদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে।
এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জঙ্গি সন্দেহে সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত পাঠানো ১৪ বাংলাদেশিকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। পরে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। গত সোমবার রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে নথিপত্রে উল্লেখ করেছে পুলিশ।
তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২৫ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠায় সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ। ফেরত পাঠানো হলে বিমানবন্দর থেকেই এদের আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদে কর্মকর্তাদের কাছে মনে হয় এদের কয়েকজন ঘটনার শিকার। আর বাকি ১৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করা হয়। এই ১৪ জন হলেন টাঙ্গাইলের আমিনুর (৩১), আবদুল আলিম (৩৩) ও শাহ আলম (২৮); কুমিল্লার গোলাম জিলানী (২৬), নুরুল আমিন (২৬) ও মাহমুদুল হাসান (৩০); ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জাফর ইকবাল (২৭); ঝিনাইদহের আকরাম হোসেন (২৭); চুয়াডাঙ্গার আবদুল আলী (৪০); পাবনার আশরাফ আলী (২৭); ঢাকার সাইফুল ইসলাম (৩৬); কুড়িগ্রামের আলম মাহবুব (৩৪); চাঁপাইনবাবগঞ্জের ডলার পারভেজ (৩৫) ও মুন্সিগঞ্জের মোহাম্মদ জসিম (৩৩)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) পরিদর্শক মোস্তফা আনোয়ার ১৪ জনকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। ঢাকার মহানগর হাকিম আমিনুল হক তাদের প্রত্যেকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশ দেন। রিমান্ড আবেদনে ডিবি উল্লেখ করে, এই ১৪ জন বাংলাদেশি সিঙ্গাপুরে কাজ করতেন। সেখানেই তাদের নিজেদের মধ্যে পরিচয় হয়। সেখানে তাঁরা জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন সন্দেহে সিঙ্গাপুর পুলিশ তাঁদের আটক করে দেশে ফেরত পাঠায়। দেশে এসেও তাঁরা আবার সংগঠিত হয়ে জঙ্গি কার্যক্রম শুরু করেন। সোমবার উত্তরা পূর্ব থানাধীন আবদুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ডের পাশে খন্দকার ফিলিং স্টেশনের কাছ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার রাতে ওই ১৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ডিবির পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা সিঙ্গাপুরের মোস্তফা মার্টের কাছে অ্যাঙ্গোলিয়া মসজিদে জড়ো হয়ে বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সদস্য ও অর্থ সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতেন। ওই মসজিদে প্রতি রোববার সন্ধ্যায় তারা একত্র হয়ে জিহাদি বক্তব্য, বয়ান ও জিহাদি ভিডিও দেখতেন। সিঙ্গাপুর পুলিশের কাছে এই জঙ্গি কার্যক্রমের বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর তাদের আটক করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোস্তফা আনোয়ার বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে সিঙ্গাপুর পুলিশ জঙ্গি সন্দেহে তাঁদের আটক করে পাঠিয়ে দেয় বলে জানতে পেরেছি। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।’