English Version
আপডেট : ১৩ জানুয়ারি, ২০১৬ ১২:২৬

সুড়ঙ্গ কেটে ব্যাংক লুটের সাজা ৫ বছর

নিজস্ব প্রতিবেদক
সুড়ঙ্গ কেটে ব্যাংক লুটের সাজা ৫ বছর

কিশোরগঞ্জে সুড়ঙ্গ কেটে সোনালী ব্যাংকের ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা লুটের মামলার প্রধান আসামি সোহেল রানাকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুই বছর আগের আলোচিত এই ঘটনার মামলায় অভিযোগ গঠনের দিন মঙ্গলবার আসামি দোষ স্বীকার করায় কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হামিদুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে এই দণ্ডাদেশ দেন।

২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি সুড়ঙ্গ কেটে সোনালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখার ভল্ট ভেঙে ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা চুরি করেন সোহেল রানা। ঘটনার দুই দিন পর ৩০ জানুয়ারি সোহেলকে ঢাকার কদমতলী থেকে ১৬ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৮০ টাকাসহ র‌্যাব গ্রেপ্তার করে। পরে আরও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারের পর আসামীরা জানিয়েছিল দীর্ঘ দুই বছর ধরে তারা এই সুরঙ্গ তৈরি করেছিল। ওই সুড়ঙ্গের অন্য প্রান্ত ছিল পাশের আমিনুল হকের বাড়ির একটি ঘরে। ওই ঘরে ভাড়া থাকতেন পটুয়াখালী সদর উপজেলার গাবুয়া গ্রামের সিরাজ মুন্সীর ছেলে সোহেল। এ ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম মো. আমানুল্লাহ শেখ কিশোরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

সোনালী ব্যাংক নিযুক্ত আইনজীবী এ বি এম লুৎফর রাশিদ রানা বলেন, সোহেল রানা অভিযোগ স্বীকার করায় আদালত তাকে পাঁচ বছর সশ্রমসহ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে আরও ৫ মাস কারাভোগ করতে হবে। অন্যদিকে মামলার বাকি তিন আসামি সোহেল রানার ভাই ইদ্রিছ মুন্সী, স্ত্রী মাহিলা আক্তার হীমা ও মামাশ্বশুর সিরাজ উদ্দিন ভুঁঞার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের দিন নির্ধারণ করেছে আদালত।