English Version
আপডেট : ১১ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৮:২৩

যমুনা ইলেক্ট্রনিক্সকে শুল্ক পরিশোধের নির্দেশ সুপ্রীম কোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক
যমুনা ইলেক্ট্রনিক্সকে শুল্ক পরিশোধের নির্দেশ সুপ্রীম কোর্টের

যমুনা ইলেক্ট্রনিক্স এ্যান্ড অটোমোবাইল লিমিটেডকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ২ কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার ৯৫৫ টাকা বকেয়া শুল্ক-কর পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে যমুনা ইলেক্ট্রনিক্সকে সরকারের প্রাপ্য শুল্ক-কর ১৫ দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম কাস্টমসের সরকারি হিসাবে জমা দিতে বলা হয়েছে।

এনবিআরের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ. মুমেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গত রবিবার এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ  করা হয়, যমুনা ইলেক্ট্রনিক্স সাতটি চালানের বিপরীতে চীন হতে রেফ্রিজারেটরের কমপ্রেসার (এইচ.এস. কোড-৮৪১৪.৩০.৯০) আমদানি করে, যার উপর কাস্টমস্ ডিউটি পাঁচ শতাংশ, মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ এবং অগ্রিম আয়কর পাঁচ শতাংশ প্রযোজ্য। কিন্তু কাস্টম হাউস চট্টগ্রামে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ওই কমপ্রেসারকে এয়ার কমপ্রেসার (এইচ.এস. কোড-৮৪১৪.৩০.৯০) হিসেবে ঘোষণা দেয়। যার উপর শুধু দুই শতাংশ হারে সিডি প্রযোজ্য। কাস্টমস্ হাউস চট্টগ্রাম ওই সাতটি চালান পোস্ট অডিটের মাধ্যমে ২ কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার ৯৫৫ টাকা কর ফাঁকি উদ্ঘাটন করে তা দাবি করে।

বিজ্ঞপ্তি আরও বলা হয়, যমুনা ইলেক্ট্রনিক্স মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে প্রযোজ্য শুল্ক-করাদি ফাঁকি দেওয়ার লক্ষ্যে পণ্য চালানটি আমদানি করেছিল। কাস্টমস্ হাউস বর্ণিত রাজস্ব আদায়ে উদ্দেশ্য দাবিনামা জারি করে। ওই দাবিনামার টাকা পরিশোধ না করে যমুনা ইলেক্ট্রনিক্স উচ্চ আদালত ডিভিশনে দাবিনামার আদেশের বিরুদ্ধে রিট পিটিশন (নম্বর ১৩৮৫/২০১৫) দায়ের করে। উচ্চ আদালত ডিভিশন গত বছরের ২১ ডিসেম্বর অন্তর্র্বতী আদেশে রিট আবেদনকারীর বক্তব্য বা আবেদন বিবেচনায় নিয়ে দাবিনামার উপর তিন মাসের অন্তর্র্বতীকালীন স্থগিতাদেশ দেয়। পরবর্তী সময়ে উচ্চ আদালত ডিভিশনের ওই আদেশের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষে সিভিল পিটিশন (সিপি) নম্বর ৩৬/২০১৬ দাখিল করা হয়।

এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রের রাজস্ব ভান্ডারকে সুসংহত করার লক্ষ্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার দৃঢ় প্রত্যয়ে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে বিচারাধীন ২৫ হাজার মামলায় প্রায় ৩১ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সংশ্লেষ সম্বলিত রাজস্ব মামলাসমূহের দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিয়েছি। এ ক্ষেত্রে সরকারের সকল বিভাগ আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন। বিশেষ করে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।’