English Version
আপডেট : ৭ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৭:৪০

বেসিক ব্যাংকের দুই ডিএমডিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক
বেসিক ব্যাংকের দুই ডিএমডিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে দুদক

দুই হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারি মামলায় বেসিক ব্যাংকের প্রাক্তন দুই ডিএমডি ও এক ডিজিএমকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বেসিক ব্যাংকের ডিএমডি ফজলুস সোবহান ও মো. সেলিম এবং ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) শিপার আহমেদ।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই ঋণ জালিয়াতিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে ওই কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করেছে। এবং তাদের বৃহস্পতিবার সকালে আটক করে রাজধানীর সেগুনবাগিচার দুদক কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। এরপর কঠোর গোপনীয়তায় তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেল ৪টার দিকে মতিঝিল থানা পুলিশের কাছে তাদের সোপর্দ করা হয়। দুদকের দায়ের করা মামলাগুলোর মধ্যে ৪৩ নম্বর মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাদের বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।

প্রায় দুই হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযাগে ২০১৫ সালের ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর মোট ১৫৬ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ৫৬টি মামলা করে কমিশন। মামলাগুলোর এজাহারে ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেফতার ওই ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রধান ভূমিকা ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় দুদক দুই ডজন মামলা করলেও আসামি হিসেবে ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা কেউ নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, সিএজি কার্যালয় ও খোদ বেসিক ব্যাংকের নানা প্রতিবেদনে এ কেলেঙ্কারির সঙ্গে সাবেক চেয়ারম্যান বাচ্চুসহ অনেকের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়। পক্ষান্তরে দুদকের কোনো মামলায় ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান বাচ্চুর সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় বিভিন্ন মহলে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তবে কমিশন বলছে, মামলার তদন্তে বাচ্চুর কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তা বিবেচনায় নেওয়া হবে।

আবদুল হাই বাচ্চু বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকাকালীন চার বছর তিন মাস সময়ে ছয় হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করেন। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকাই নিয়ম ভেঙে ঋণ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল। যা অনুসন্ধান করে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় বাচ্চুকে ছাড়াই মামলা করে দুদক।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. ইব্রাহিম দ্যাঢাকাপোষ্ঠ.কমকে জানান, আদালতে রিমান্ড আবেদন শেষে তাদের মতিঝিল থানা হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।

২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর মামলার তদন্তে দুদকের উপপরিচালক মোরশেদ আলম, মো. ইব্রাহিম ও ঋত্বিক সাহা, সহকারী পরিচালক শামসুল আলম এবং উপসহকারী পরিচালক ফজলে হোসেন ও মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীনকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। মামলার তদারককারী কর্মকর্তারা হলেন পরিচালক নূর আহম্মেদ ও উপপরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।