English Version
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১২:৩২

পূর্ণাঙ্গ রায়ে সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
পূর্ণাঙ্গ রায়ে সাঈদীর  আমৃত্যু কারাদণ্ড

একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার  সকালে এ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।    প্রায় এক বছর তিন মাস পরে সাঈদীর মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হলো। এর আগে ৬১৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপিতে স্বাক্ষর করেন সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের বিচারপতিরা। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত আপিল বিভাগের বিশেষ বেঞ্চে এই রায় ঘোষণা করা হয়। বেঞ্চের অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন বিচারপতি (বর্তমান প্রধান বিচারপতি) সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা, বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিয়া, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। বেঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতিদের মতে আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের করা দুটি আপিল আংশিক মঞ্জুর করে এই রায় দেয়া হয়।  রায় ঘাষণার দিন সকাল ১০টা ৫মিনিটে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। চার মিনিটের মধ্যে প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন রায় পাঠ শেষ করেন। রায়ে ১০, ১৬ ও ১৯ নম্বর অভিযোগে সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয় আপিল বিভাগ। সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে ৬, ১১ ও ১৪ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়।  একই সঙ্গে ৮ নম্বর অভিযোগের অংশবিশেষে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে সাঈদীকে খালাস এবং এ অভিযোগের অংশবিশেষে তাকে ১২ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেয় হয়। এছাড়াও সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে ৭ নম্বর অভিযোগে তাকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। এর আগে ২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিল সাঈদীর মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদনের শুনানি শেষে রায় (সিএভি) রাখেন আপিল বিভাগ। এর আগে মৃত্যুদণ্ডের রায়ে আনা আপিল আবেদনের ওপর রাষ্ট্র ও আসামী পক্ষ মোট ৫০ কার্যদিবস শুনানি করেন।

সাঈদীর পক্ষে আপিলে শুনানিতে যুক্তি পেশ করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহাবুব হোসেন ও এসএম শাহজাহান। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম যুক্তি উপস্থাপন  করেন শেষ করেন। তাকে সহযোগিতা করেন অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল ও ট্রাইব্যুনালের সমন্বয়ক এমকে রহমান, ট্রাইব্যুনালে এ মামলার প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।