English Version
আপডেট : ২২ জুন, ২০২২ ১৩:৩০

গাইবান্ধায় ১১৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক
গাইবান্ধায় ১১৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

বৃষ্টি ও উজানের ঢলে প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পানি প্রবেশ করায় গাইবান্ধায় ১১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, উজানের ঢলে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার চার উপজেলায় আকস্মিক বন্যা শুরু হয়েছে। নিচু এলাকার ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এর মধ্যে কিছু বিদ্যালয়ের মাঠ ও শ্রেণিকক্ষে পানি প্রবেশ করেছে।

এ অবস্থায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে দুর্গত এলাকার ১১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাতেও পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

তিনি আরও জানান, বন্ধ ঘোষণা করা বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ৬২টি বিদ্যালয় ফুলছড়ি উপজেলায়। এ ছাড়া সদর উপজেলায় ১৬টি, সাঘাটায় ৮টি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২৫টি বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে যে বিদ্যালগুলোতে এখনো পানি ঢোকেনি সেগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু করা হবে। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অতিরিক্ত ক্লাসসহ পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

কয়েকদিন ধরে নদ-নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে গাইবান্ধার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা। সরকারি হিসেবে সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ২০টি ইউনিয়নে পানিবন্দি অন্তত ৪২ হাজার মানুষ। বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় বুধবার সকালে ঘাঘট নদীর পানি শহর পয়েন্টে বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ১৯.৯৫ সেন্টিমিটার বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।