English Version
আপডেট : ২৯ জানুয়ারি, ২০২২ ১২:১৭

দিনাজপুরে মৌসুমের সবচেয়ে বেশি শীত

অনলাইন ডেস্ক
দিনাজপুরে মৌসুমের সবচেয়ে বেশি শীত

চলতি শীত মৌসুমে দিনাজপুর জেলায় আজ শুক্রবার সবচেয়ে বেশি বিরাজ করছে। এর আগে দিনাজপুরে এই মৌসুমে এতো শীত নামেনি। আজ দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইসঙ্গে বেড়েছে বাতাসের আদ্রতা ও গতিবেগ। ফলে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই শৈত্যপ্রবাহ কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে।

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিনাজপুরে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস,  যা সকাল ৯টায় কমে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৩ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ছিল ৪-৫ কিলোমিটার। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার গতিতে ধাবিত হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিনাজপুরে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ছিল ৩-৪ কিলোমিটার। 

আবহাওয়া দফতরের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগসহ দেশের আরও বেশ কিছু স্থানের ওপর দিয়ে একটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শৈত্যপ্রবাহটি অব্যাহত থাকতে পারে। কমে যেতে পারে তাপমাত্রা। হিমেল বাতাসের প্রভাব ও বাতাসের গতিবেগের কারণে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। আর এই বাতাসের কারণে কুয়াশা নেই। 

এদিকে শৈত্যপ্রবাহ থাকলে দিনাজপুরবাসী সকালে সূর্যের দেখা পেয়েছে। তবে তেমন তাপ বিকিরণ করছে না। রয়েছে হিমেল বাতাসের প্রভাব। আর এসব মিলে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

মুন্সিপাড়া খালপাড়া এলাকার  আজাহার রেজা বলেন, রাত থেকে প্রচন্ড শীত আর ঠাণ্ডা বাতাস। মনে হচ্ছে গায়ে কাঁটা দিয়ে প্রবেশ করছে। এবার শীতে আজকের মত শীত কোন দিন লাগেনি।

মিন্ত্রিপাড়া মহল্লার আমিনুল ইসলাম এক কৃষক বলেন, শীতের কারণে জমি বাড়ীতে কাজ করতে পারছিনা। হিমেল হাওয়া হাত পা ককড়া করে দিচ্ছে।