English Version
আপডেট : ৫ আগস্ট, ২০২১ ১৬:১৪

রাজধানীর সড়কে যেন রিকশার দাপট

অনলাইন ডেস্ক
রাজধানীর সড়কে যেন রিকশার দাপট

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউন চলছে। এরই মধ্যে গণপরিবহন বন্ধ রেখে দেশের রপ্তানিমুখী সকল শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ। লকডাউনে যাত্রীবাহী বাস বন্ধ থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেল সবই চলছে। মানুষও রাস্তায় বের হয়েছে। ফলে রাজধানীর কোনো কোনো জায়গায় স্বাভাবিক সময়ের মতোই ট্রাফিক সামাল দিতে হচ্ছে পুলিশ সদস্যদের। এমনকি কিছু সিগন্যালে ছোটখাটো যানজটও দেখা গেছে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অফিসগামী সাধারণ যাত্রীদের রিকশার ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে। এতে করে রাজধানীর সড়কে বেড়েছে রিকশার দাপট। যদিও অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই যেতে হচ্ছে গন্তব্যে।

বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) রাজধানীতে দেখা চরম ভোগান্তিতে পড়ছে অফিসগামী এবং জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া মানুষ। লকডাউন বাস্তবায়নে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সড়কে চলছে ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল ও রিকশা। গণপরিবহন না থাকায় গন্তব্যে যেতে সাধারণ মানুষের একমাত্র ভরসার বাহন হচ্ছে এখন রিকশা। রিকশা না পেয়ে অনেকে আবার ভ্যানগাড়িতে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন।

গণপরিবহন না থাকায় রিকশার ওপর চাপ বেড়েছে, এতে করে রেগুলার ভাড়ার চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ ভাড়া অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। রাজধানী ঢাকাকে রিকশার নগরী বলা হয়ে থাকে। সড়কে গণপরিবহন না থাকায় এখন পুরো রাস্তাই রিকশার দখলে। কাছে কিংবা দূরে এখন সাধারণ মানুষের একমাত্র ভরসার বাহন হচ্ছে রিকশা। চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ১০ আগস্ট (মঙ্গলবার) মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শিল্প, কলকারখানা বিধিনিষেধের আওতা বহির্ভূত থাকবে; স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল করবে। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সচিবালয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের জানান, বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও পাঁচ দিন (১০ আগস্ট পর্যন্ত) বাড়ানো হয়েছে। ১১ আগস্ট থেকে খুলবে সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস, দোকানপাট, শপিংমল; চলবে গণপরিবহন।

তিনি বলেন, ১১ আগস্ট থেকে এই কঠোর বিধিনিষেধ আর থাকবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছু ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, ১১ আগস্ট থেকে দোকানপাট খুলে দেওয়া হবে। ওইদিন থেকে সড়কে পুনরায় গণপরিবহন চলাচল করবে। ১০ তারিখ পর্যন্ত বিধিনিষেধের সময়ের মতো চলবে, ১১ তারিখ থেকে খুলবে অফিস।