English Version
আপডেট : ৪ আগস্ট, ২০২১ ১৫:২৩

কঠোর লকডাউনে রাজধানীতে ঢিলেঢালা চেকপোস্ট

অনলাইন ডেস্ক
কঠোর লকডাউনে রাজধানীতে ঢিলেঢালা চেকপোস্ট

মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনগুলোতে যে চেক পোস্টগুলোতে প্রায় প্রতিটি গাড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছিল, বুধবার (৪ আগষ্ট) সেখানে গা-ছাড়া ভাব দেখা গেছে। কিছু কিছু চেকপোস্ট অনেকটাই খালি পড়ে আছে। ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা কিংবা কনস্টেবলদের আশপাশে বসে গল্প করতে দেখা গেছে। এসব চেকপোস্ট দিয়ে অবাধে গাড়ি চলাচল করছে। রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যাও ছিল অনেক বেশি। মানুষের চলাচলও বেড়েছে।

লকডাউনের প্রথমদিকে পুলিশ যতটা উৎসাহ নিয়ে কাজ করছিল, এখন সেই উদ্দীপনায় ভাটা পড়েছে বলে মন্তব্য করছে সাধারণ মানুষ।মানুষ বলছে পুলিশের মধ্যে এক ধরনের গা ছাড়া ভাব চলে এসেছে এবং তাদের নজরদারির কার্যক্রমও যথেষ্ট শিথিল হয়ে পড়েছে।দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা বলছেন, মানুষ নানান অযুহাতে বাহিরে বের হচ্ছেন। তাদের কিছু বলাও যাচ্ছে না। যেসকল অযুহাত দিলে বাইরে বের হওয়া যায় সেসকল অযুহাতই দিচ্ছে মানুষ।

উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই থেকে ফের ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। শেষ ধাপের বিধিনিষেধের মধ্যে সব ধরনের শিল্প-কলকারখানা বন্ধ রাখা হলেও রোববার থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে শিল্পকারখানা খোলার ঘোষণার পর গণপরিবহণ বন্ধের মধ্যেই চরম ভোগান্তি নিয়ে শনিবার সকাল থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশে রওয়ানা দেন পোশাক শ্রমিকরা। পরে শ্রমিকদের যাতায়াতের সুবিধায় কিছু সময়ের জন্য লঞ্চ ও বাস চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার।

বিধিনিষেধের মধ্যে শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ায় করোনার সংক্রমণ বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্যমন্ত্রীও সোমবার এক অনুষ্ঠানে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এদিকে করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে চলমান কঠোর লকডাউন আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।