English Version
আপডেট : ৩ আগস্ট, ২০২১ ১৩:৪৬

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঢাকাগামী যাত্রীদের ঢল

অনলাইন ডেস্ক
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঢাকাগামী যাত্রীদের ঢল

করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে গার্মেন্টস-শিল্পকারখানা খুলে দেয়ার খবরে কর্মস্থলে ঢাকায় ফিরতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিতে যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপারের হিড়িক পড়েছে। ফেরিতে পারাপার হওয়া যাত্রীদের অধিকাংশই পোশাক কারখানার শ্রমিক। সোমবার (৩ আগস্ট) সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাটে যান ও যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। শিমুলিয়া বাংলাবাজার নৌরুটে সকাল থেকে ৪টি রো রো ও ৬টি কেটাইপসহ সচল দশটি ফেরিতে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে পারাপার হচ্ছে শতশত যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি।

জরুরি ও বিধিনিষেধের আওতামুক্ত পণ্যবাহী গাড়ি পারাপারে ফেরি চালু থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। বাংলাবাজার ঘাট থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটিতে ফেরিতে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। ফেরিতে গাদাগাদি যাত্রীর চাপে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক(বানিজ্য) ফয়সাল আহমেদ বলেন, নৌরুটে ছোট-বড় মিলিয়ে দশটি ফেরি চলাচল করছে। শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারগামী যাত্রীর সংখ্যা কম। ঘাটে যানবাহনের উপস্থিতি রয়েছে দেড় শতাধিক। গাড়ির চাপ কম থাকায় জরুরি প্রয়োজনে যেসব গাড়ি পারাপারের জন্য আসছে, তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। ঘাটে এসেই ফেরিতে উঠে পড়তে পারছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ খুব বেশি। বাংলাবাজার ঘাট থেকে আগত প্রতিটি ফেরিতেই চাপ রয়েছে। পোশাক কারখানা খুলেছে, তাই যাত্রীদের উপস্থিতি বেশি।

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ(টিআই প্রশাসন) মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, কঠোর বিধিনিষেধের কারণে গণপরিবহন বন্ধ আছে। কর্মস্থলে যোগ দিতে যাঁরা রাজধানী ঢাকার দিকে যাত্রা করেছেন, তাঁরা যানবাহনের অভাবে পথে পথে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।